বুধবার পর্যন্ত ঠিকই ছিলেন, এরপর বৃহস্পতিবার হঠাৎই পরিস্থিতি বদলে যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মৃত্যুকালে সতীশ কৌশিকের বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। সতীশ কৌশিক রেখে গিয়েছেন স্ত্রী শশী কৌশিক এবং ১০ বছরে ছোট্ট মেয়ে বংশিকাকে। বাবার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে ছোট্ট বংশিকা।
কথা বলার মতো মানসিক পরিস্থিতিতে নেই ছোট্ট বংশিকা কৌশিক। কী বলবে, কী ভাববে তা হয়ত ছোট্ট মেয়েটির জানা নেই। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ইনস্টাগ্রামে বাবাকে দুহাতে জডিয়ে থাকার একটি ছবি পোস্ট করেছে সতীশ কন্যা, সঙ্গে জুড়েছে ভালোবাসার ইমোজি। বংশিকার পোস্টে শোকপ্রকাশ করেছেন তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছেন অভিনেতার বহু অনুরাগী।
এই তো সেদিন মেয়ের ১০ বছরের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে সতীশ কৌশিক লিখেছিলেন, ‘আমার প্রিয় কন্যা বংশিকা তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। তোমার বয়স এখন ১০। এই দশ বছরে তুমি আমাদের সুখ শান্তি ও আনন্দ দিয়েছ। তুমি আসার আগে জীবন শূন্য ছিল কিন্তু তোমার এই দিনটি আমাদের জীবনকে অর্থবহ করে তুলেছে। ঈশ্বর তোমাকে সর্বদা আশীর্বাদ করুন।’ তখনও জানা বংশিকার জানা ছিল না, এটাই তাঁর বাবার সঙ্গে কাটানো শেষ জন্মদিন হতে চলেছে।
১৯৮৫ সালে শশী কৌশিককে বিয়ে করেন শশীকে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সতীশ ও শশীর জীবনে আসে পুত্র সন্তান, কিন্তু মাত্র ২ বছর বয়সে মৃত্যু হয় সতীশ-শশীর ছেলের শানুর। ছেলের মৃত্যু সতীশ ভেঙে পড়েছিলেন। ধীরে ধীরে নিজেকে সামলে নেন। তারপর ২০১২ সালে, ১৬ বছর পর, একজন সারোগেট মায়ের মাধ্যমে কন্যা বংশিকার জন্ম হয়। তখন সতীশের বয়স ছিল ৫৬ বছর। মেয়েকে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ছিলেন সতীশ ও শশী। সুন্দর কাটছিল ছিল। ছোট্ট বংশিকাও ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে। এখন তার ১০ বছর বয়স। তবে ফের ছন্দপতন। কাছের মানুষকে হারিয়ে দিশেহারা ছোট্ট বংশিকা কৌশিক।