সোহেল খান আর সীমা সজদেহর ডিভোর্স নিয়ে একসময় কম জলঘোলা হয়নি। সলমনের ছোট ভাই সোহেল আর তাঁর বউ ২৪ বছরের বিয়ে ভাঙেন চলতি বছরের শুরুর দিকেই। শোনা গিয়েছিল, বহুদিন ধরেই নাকি সমস্যা চলছিল। অবশেষে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোহেলকে ডিভোর্স দেওয়া নিয়ে মুখ খুললেন সীমা।
১৯৯৮ সালে প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া-র সেটে প্রথম আলাপ হয় সীমা আর সোহেলের। এরপর প্রেম আর পালিয়ে বিয়ে। তাঁদের দুই ছেলেও রয়েছে-- নির্বাণ আর ইওহান। ২০১৭ সালে প্রথম তাঁদের ডিভোর্সের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। এরপর নেটফ্লিক্সের শো ‘দ্য ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস’-এ স্পষ্ট হয়েছিল এক ছাদের তলায় থাকেন না তাঁরা।
সীমা সম্প্রতি এ ডিভোর্স প্রসঙ্গে বলেন, ‘ব্যাপারটা হল আমার মধ্যে একটা ক্ষত তৈরি হয়েছিল, যা ক্রমাগত আরও গভীর হচ্ছিল। তাই আমি উলটো পথেই হাঁটা বেছে নিলাম। এটাই আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আমার পরিবার, দুই সন্তান, ভাই-বোনের জন্য অন্তত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার ছিল। তোমার বোনকে বা মেয়েকে এরকম পরিস্থিতিতে দেখতে কারই বা ভালো লাগে… তুমি ক্রমাগত সেই মানুষটাকে নিয়ে চিন্তা শুরু করো।’ আরও পড়ুন: ২০২২ সালে কোন ছবির লাভের অঙ্ক সবচেয়ে বেশি? প্রথম ৫-এ কি আছে কেজিএফ?
‘সুতরাং তাঁদের অন্তত দেখাতে চেয়েছিলাম আমি আমার জীবনকে একদম ইতিবাচক দৃষ্টি দিয়ে দেখা শুরু করেি। আমার মধ্যে থাকা সমস্ত নেগেটিভিটি ঝেড়ে ফেলেছি। এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছি যখন আমার কিছু যায় আসে না কে কী ভাবল। অন্তত ততক্ষণ যতক্ষণ আমার পরিবার, মা-বাবা, ভাই-বোন, আর দুই ছেলে বুঝতে পারছে আমাকে।’
সীমার ইনস্টাগ্রাম বায়োতে চোখ রাখে দেখা যাবে লেখা রয়েছে, ‘ফিল্টার ফ্রি জীবন কাটাচ্ছি এই মুহূর্তে’! ডিভোর্সের পর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ‘বিশ্বাস’ নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন সীমা। সেখানে লেখা ছিল, ‘সবকিছুই ঠিক হয়ে যায় সবশেষে। তোমার জানবার দরকার নেই কীভাবে, তোমায় শুধু বিশ্বাসটা ধরে রাখতে হবে, যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে’।
ডিভোর্সের আবেদন করার পর নিজের নামও সোশ্যাল মিডিয়ায় বদলে ফেলেছেন সীমা। নামের থেকে খান পদবি মুছে ফেলেছেন। নেটফ্লিক্সে ‘ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস’-এ তাঁকে দেখা গিয়েছে ভাবনা পাণ্ডে, নীলম কোঠারি আর মাহিপ কাপুরের সঙ্গে।