রবিবার সলমন খানের বাড়ি গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে ২ রাউন্ড গুলি চালায় দুই শ্যুটার। ইতিমধ্যেই তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তারপর কড়াকড়ি করা হল শাহরুখ খানের নিরাপত্তাতেও। কাকতালীয়ভাবে রবিবার সকালবেলাতেই কলকাতা এসেছিলেন শাহরুখ। সঙ্গে ছিল তাঁর দল কেকেআর। আর বুধবার গভীর রাতে সদলবলে ফিরলেন মুম্বইতে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গেল, নিরাপত্তার বলয় আরও টাইট করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরেও নেওয়া হয়েছিল পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। আর তারপর মুম্বই বিমান বন্দরে শাহরুখ খান নামলেও, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী, অস্ত্র সহ সৈন্য, পুলিশ, এয়ারপোর্টের কর্মী, সকলে মিলে ঘিরে ছিল বাদশাকে।
আরও পড়ুন: ২০ দিন পর বিয়ে, সম্মতি কৌশাম্বির! ভোলবদল আদৃতের, লিখলেন, ‘কুল হওয়ার চেষ্টা…’
গত বছর থেকে মুম্বই পুলিশ শাহরুখ খানকে Y+ ক্যাটাগরিতে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। পাঠান ও জওয়ান ১০০০ কোটির ব্যবসা করার পর তিনি দুষ্কৃতিদের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছিলেন। এবং এই বিষয়ে অভিযোগ করার পর, সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। তবে সলমন খানের বাড়িতে হামলা হওয়ার পর, তা আরও বাড়ানো হতে পারে শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘দরকার নতুনের…’! ৫৬ লাখ খোরপোশ, ২য় বিয়ের জল্পনা! কী লিখল কাঞ্চন-প্রাক্তন পিঙ্কি
এদিকে, রবিবার সলমন খানের বাড়ির উপরে হামলার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল। বহুদিন ধরেই তাদের টার্গেটে রয়েছেন দাবাং। কৃষ্ণসায়র হরিণ মারার অভিযোগে একাধিকবার তারা হুমকি দিয়েছে সলমনকে। যদিও দুই অভিযুক্তই গ্রেফতার হয় মঙ্গলবার। মঙ্গলবারই তাদের আদালতে তুললে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ পাওয়া যায়। একজনের নাম সাগর পাল, যার বয়স ২১ বছর। আরেকজন হলেন ভিকি গুপ্তা, তাঁর বয়স ২৪।
আরও পড়ুন: ছেলের সেক্স লাইফ জেনেও ভরল না মন! আরবাজের নাম নিয়ে আরহানকে ‘কটাক্ষ’ মালাইকার
মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে বুধবার জানানো হয়ে যে, দুই ব্যক্তি গ্যালাক্সির সামনে গুলি চালিয়েছিল তাঁরা জানিয়েছেন যে তাঁরা স্রেফ সলমন খানকে ভয় দেখাতে চেয়েছিলেন। মার্ডার করতে চাননি। একই সঙ্গে এই সাক্ষাৎকারে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ এএনআইকে জানিয়েছে কেবল গ্যালাক্সি নয়, সলমন খানের পানভেলে যে বাগান বাড়ি আছে ওখানেও রেইকি করে গিয়েছিল এই দুষ্কৃতীরা। তাঁদের কথায়, 'ওরা আগেই রেইকি করে গিয়েছিল। সলমন খানকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল স্রেফ, মারতে নয়।'