আজ তিনি শাহিদ কাপুর, নিজের পরিচয় দেওয়ার জন্য এই নামই যথেষ্ঠ। তবে যখন তিনি নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত হননি, তখনও কিন্তু তিনি বিখ্যাত বাবার ছেলে অর্থাৎ তারকা সন্তান। জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ কাপুরের ছেলে তিনি। তবে সম্প্রতি পঙ্কজ কাপুরের ছেলে হওয়া নিয়ে 'নো ফিল্টার নেহা'য় বড় স্বীকারোক্তি করেছেন শাহিদ কাপুর।
শাহিদ কাপুর বলেন, ‘সবাই বলত এটা তো পঙ্কজ কাপুরের ছেলে। তবে সত্যিটা হল যাঁরা চরিত্রাভিনেতা, তাঁদের আলাদা করে ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও ক্ষমতাই নেই, ক্ষমতা শুধু তারকাদেরই আছে। সুপারস্টার, পরিচালক ও প্রযোজকদের ক্ষমতা আছে। যদি আপনি BMW চড়ে লড়াই শুরু করেন, তারপর সফল হয়ে আরেকটা BMW কিনলেন, তাহলে সেই লড়াইয়ের অর্থ কী! কেন বহিরাগতরা সুযোগ পাবে না? ইন্ডাস্ট্রিতে বেশিরভাগই ইন্ডাস্ট্রিরই লোক, কিছু বাইরের লোকজন আছেন।’
আরও পড়ুন-রামায়ণের ‘রাম’ হয়ে তির-ধনুক চালাবেন, তিরন্দাজি শিখছেন রণবীর, সামনে এল ছবি…
এরপরই শাহিদ কাপুরকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, তিনিও তো শেষ সারিতে থেকে লড়াই শুরু করেছিলেন। স্টারদের কো-ডান্সার হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন? শাহিদ উত্তরে বলেন, ‘অবশ্যই। শুধু স্টারদের কো ডান্সার হিসাবেই নয়, শেষ লাইনের শেষে দাঁড়াতে হয়েছিল আমাকে। যখন আমিয় কোরিওগ্রাফার শিয়ামক দাভারের সঙ্গে কাজ করেছিলাম, আমাকে ধীরে ধীরে সেই শেষ থেকে মাঝে, তারপর প্রথমে উঠে আসতে হয়েছিল। সেই লড়াইটা করতে আমার ভালোই লেগেছে। এই সত্যটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এই লড়াই করে অর্জন করার মধ্যে একটা তৃপ্তি আছে।’
ইন্টারভিউ শুনতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন…
শাহিদের কথায়, ‘BMW- চড়ে লড়াইয়ে নেমে পরে আরেকটা BMW কেনার কোনও মজা নেই। ট্রেনে চড়ে যাতায়াত, ফটোশ্যুটের জন্য টাকা কোথা থেকে আসবে সেটা ভাবা। মিটিংয়ের জন্য ভালো জামাকাপড় কোথা থেকে জোগাড় করব, সেটা ভাবা, এই যে লড়াই সেটা বড়ই প্রয়োজন। কষ্ট করে কোনও কিছু অর্জন করার আনন্দই আলাদা।’
শাহিদ কাপুর বলেন, তিনি যখন কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, তখন পঙ্কজ কাপুরের ছেলে, এভাবে তিনি কাউকেই নিজের পরিচয় দিতে পারেননি। তাঁর কথায়, ‘আমার বাবা-মা আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। তাই আমি পঙ্কজ কাপুরের ছেলে, এভাবে কখনওই কাউকে পরিচয় দিইনি। আমি আসলে এবিষয়ে কাউকে কিছু বলতেই চাইনি। আমি ছবির জন্য সই করার পরেই বাবাকে জানিয়েছিলাম। তিনিও জানতেন না।’
শাহিদের কথায়, ‘আমিও আসলে বহিরাগত। কারণ, বাবা-মা আলাদা হয়ে যাওয়ার পর আমি মায়ের সঙ্গে দিল্লিতে থাকতাম। সেখান থেকে মায়ের সঙ্গে মুম্বইতে এসে লড়াই শুরু করি। আমারও কোনও চ্যানেল(পরিচিতি) ছিল না কিন্তু। নিজের ট্যালেন্টকে প্রমাণ করেছি। আমারও তাই প্রশ্ন কেন বহিরাগতরা সুযোগ পাবেন না?’