আর জে আনমোল ও অমৃতা রাও-এর পডকাস্ট শো-তে এসেছিলেন শার্ক ট্যাঙ্ক কাপল অশনীর গ্রোভার ও মাধুরী। এই শো-র জন্য তাঁদের বিয়ের পর প্রথম একসঙ্গে থাকা মুম্বইয়ের একটি ওয়ান বিএইচকে ফ্ল্যাটেও যান তাঁরা। সেখানেই প্রথম ঘর বেঁধেছিলেন একসঙ্গে। বিবাহিত জীবনের রোম্যান্স থেকে শুরু করে নানা ওঠাপড়া নিয়েও কথা বলেন এই পডকাস্টে।
মাধুরী এবং অশনীর জানান তাঁদের প্রথম প্রেগন্যান্সির অভিজ্ঞতা। কিছু শারীরিক জটিলতার কারণে ডাক্তাররা মাধুরীকে গর্ভপাত করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। অশনীর-পত্নী বলেন, ‘আমরা দুজন বাচ্চা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতই ছিলাম। আর এরকম একটা সময় প্রেগন্যান্সি আসার পরেও ডাক্তাররা যখন সেটাকে নষ্ট করে দেওয়ার কথা বলে তখন তা খুব হতাশাজনক হয়। কিন্তু তা ছাড়া আপনার কাছে আর কনও উপায়ও নেই।’
এর আগে ইটাইমসকে অশনীর জানিয়েছিলেন, ‘তখন আমি কোটাকে কাজ করতাম। যা মাইনে পেতাম তা দিয়ে আমার আর মাধুরীর কোনওরকমে চলত। আমার মা-বাবা পর্যন্ত এসে ১-২ দিন থেকেই চলে যেত আর ছোট ঘর নিয়ে আমাকে টোন কাটত।’
‘দুই বছরেই আমরা পরিবারকে মিস করতে শুরু করি। তোমার শিকড় যদি মুম্বইয়ের না হয় তাহলে এখানে মানিয়ে নেওয়া খুব কঠিন। এরপর মাধুরীর মিসক্যারেজ হয় আর ও দিল্লিতে ফিরে যায়। আমি আমার অফিসে গিয়ে সেটা জানাই ওরাও আমাকে দিল্লিতে ফিরে যেতে দেয়। এরপর আমি ক্রমাগত বাহানা দিয়ে যাচ্ছিলাম। তবে একটা মুহূর্তে এসে আমি কোটাক ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। মাধুরীর যখন গর্ভপাত হয়, আমরা দিল্লিতে ফিরে যাই, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আর কখনো মুম্বইতে ফিরব না।’, বলেছিলেন অশনীর।
অশনীরের স্ত্রী মাধুরীও উদ্যোগপতি। একসময় কাজ করেছেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসেবেও। সত্য পল এবং অলোক ইন্ডাস্ট্রিজের মতো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করেছিলেন মাধুরী নিজের ব্যবসা শুরুর আগে। অভিনেত্রী আসিনের বাড়ির ইন্টিরিয়রের কাজ করেছিলেন মাধুরী। বর্তমানে অশনীর ও মাধুরীর দুই সন্তান। ছেলে অ্যাভি গ্রোভার, এবং মেয়ে মান্নাত গ্রোভার।