Sheezan Khan's sisters criticise media: তুনিশা শর্মার কেসে শিজান খানকে বারবার টেনে আক্রমণ করার জন্য মিডিয়ার উপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অভিনেতার বোন। 'নিরলসভাবে কুৎসা' করার জন্য একহাত নিলেন মিডিয়াকে। শাফাক নাজ এবং ফালাক নাজ, যারা অভিনেতাও, শনিবার ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি জারি করেছেন। এবং এই কেসে 'ধর্মকে টেনে আনার' জন্য মিডিয়াকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন।
সবাইকে নিজেদের 'সাধারণ জ্ঞান' ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করেছেন শিজানের দুই বোন। শাফাক এবং ফালাক তাদের যৌথ বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘এটা আমাদের হৃদয় ভেঙে দেয় যে কীভাবে আমাদের নীরবতাকে দুর্বলতা হিসাবে দেখানো হচ্ছে। এটিকেই সম্ভবত 'ঘোর কলিযুগ' বলে।কিছু মিডিয়া কী ধরণের গবেষণা করা শুরু করেছে? রিপোর্ট করার আগে পোর্টালগুলি কি তাঁদের সাধারণ জ্ঞানও কাজে লাগাচ্ছে না? শিজানকে অবমাননাকরা সমস্ত লোকের উদ্দেশে বলছি নিজেকেই প্রশ্ন করুন- আপনি কি পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে এই কথা বলছেন, নাকি আপনি ধর্মের প্রতি ঘৃণার থেকে এসব কথা বলছেন?নাকি আগে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা থেকে এসব কথা আসছে আপনার মনে? জাগুন আপনারা! ’
তুনিশা শর্মা মৃত্যু মামলায় 'অনির্ভরযোগ্য সূত্র'-র উপর ভিত্তি করে মিডিয়ার কভারেজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাঁরা জানান, ‘মিডিয়ার একটি নির্দিষ্ট অংশের সাংবাদিকতার মান এতটাই নীচে নেমে গিয়েছে যে এটি শুধুমাত্র টিআরপির জন্য কাজ করছে। এবং আপনারাই তাঁদের ভোক্তা। অবিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে খবর জানালে তা রিপোর্ট করা আপনাদেরই কর্তব্য। নিজেকে বোকা হতে দেবেন না… অবশ্য কিছু মিডিয়াও আছে যারা অন্য দিক থেকে ব্যাপারটাকে দেখছে। তাঁদেরকে অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের মতো মানুষই আরও দরকার। সর্বোপরি এই যে সকলকে শিজানকে উঠতে-বসতে অপমান করছে এটা দেখতে খুব খারাপ লাগছে। নানা ধরনের গল্প বানানো থেকে শুরু করে ধর্মকে টেনে আনা, কিছুই বাদ যাচ্ছে না। নিজেদের ১৫ মিনিটের খ্যাতির জন্য আমাদের সম্মান নষ্ট করছে। ভগবান তুনিশার মঙ্গল করুক। আশা করি ও অন্তত এর চেয়ে ভালো জায়গায় এখন আছে।’
প্রসঙ্গত, ২৪ ডিসেম্বর ‘আলিবাবা-দাস্তান-এ-কাবুল’-এর সেটে আত্মহত্যা করেন তুনিশা। আর তারপর তুনিশার মা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন শিজানের নামে। পুলিশও তদন্তে নেমে জানতে পারে মৃত্যুর দিন পনেরো আগেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছিল। এরপর শিজানকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে এক ‘গোপন প্রেমিকা’ ছিল শিজানের। এমনকী যেদিন তুনিশা মারা যায় সেদিনও দীর্ঘক্ষণ কথা হয় দুজনের। এই মহিলার সঙ্গে হওয়া চ্যাট যদিও মুখে ফুলেছেন শিজান বলেই পুলিশের দাবি।