কোভিড- ১৯ এর প্রকোপে সারা বিশ্ব তোলপাড়। এ যেন মৃত্যু মিছিল আর হাহাকারের কোনও দুনিয়া! ডাক্তার, ঈশ্বর, এবং প্রকৃতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইছে মানুষ। একটা ‘করোনা’ দেখিয়ে দিল অন্য জীবন দর্শন। এ শুধু মহামারী নয়, এটা একটা শিক্ষা। জীবনের মূল্যবোধের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ চ্যাপ্টার। আমরা সকলেই আশা রাখি খুব তাড়াতাড়ি এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হয়ে অগামী সুস্থ পৃথিবীতে ফিরতে পারব। তবে সেই সুস্থতা কেবল অসুখের নয়, মানসিকতারও। ছোট্ট জীবন, আর তার মাঝেই আমাদের কত জটিলতা! মুহূর্তে হারিয়ে যায় বিশ্বাস। সামান্য কারণেই ভেঙ্গে যায় সম্পর্ক। আমাদের সময় নেই, ধৈর্য্য দিয়ে কোনও কিছু বিচার করার। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে ভালোবাসা শব্দটা বদলে গিয়ে আমাদের প্রিয় শব্দের নাম আজকাল 'কম্প্রোমাইজ' হয়েছে! আমাদের অলট্রা মর্ডান সোসাইটি কিন্তু এই ভাবেই অভ্যস্থ হয়ে উঠেছিল অনেকটা সময় ধরে।
কিন্তু সবকিছু ওলটপালট করে উদয় হল করোনা ভাইরাস। শুরু হল লম্বা লকডাউন পর্ব। একসঙ্গে এক ছাদের তলায় গৃহবন্দী হয়ে পড়ল অনেক অযাচিত সম্পর্ক। উপায় নেই তাই থাকতে হচ্ছে এই মানসিকতা নিয়েই শুরু হয়েছিল লকডাউন পর্ব। অন্যান্য সময় অফিস কাছারি, লেটনাইট, বাপের বাড়ি যাওয়া, কর্মসুত্রে ভিন্ন শহরে থাকা ইত্যাদি বহু ছুতো রয়েছে দূরত্ব বজায় রাখার। কিন্তু এখন তো আর উপায় নেই আলাদা থাকার। কতই বা ঝগড়া করা যায়? সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে সম্পর্কের টানাপোড়েন। কম্প্রোমাইজ কেবল এক তরফা হয়নি, দু’জন মিলেই এগিয়ে এসেছে অন্তরে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসার টানে। আবার নতুন করে একসঙ্গে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে মানুষ। এই ভাবনা থেকেই তৈরি হয়েছে স্বল্প দৈর্ঘের ছবি ‘সেকেন্ড ইনিংস’। পরিচালক পার্থসারথি মান্না। নিবেদনে ‘সিনেমাওয়ালা’। এর আগে তিনি ‘হোপ’ ‘গন্ধ’ ‘কাইট দ্য মেসেঞ্জার’ সহ বেশকিছু বলিউড এবং টলিউড প্রজেক্ট করেছেন। ২০১৮ তে মুক্তি পেয়েছে তাঁর নির্দেশিত বাংলা ফিচার ফিল্ম ‘অস্কার’। ৫-ই মে ইউটিউবে মুক্তি পেল এই শর্ট ফিল্ম ‘সেকেন্ড ইনিংস’। এফটিসি ট্যালেন্ট মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্টের তরফ থেকে এই ছবিটি শ্রেষ্ঠ ১০টি শর্ট ফিল্মের মধ্যে তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। ছবিটির লিঙ্ক দেওয়া রইল এই প্রতিবেদনের নিচে।
