‘দেশের মাটি’-র মুখ্য চরিত্রে ছিলেন শ্রুতি দাস। সঙ্গে থাকা দিব্যজ্যোতি দত্ত ইতিমধ্যেই অন্য প্রোজেক্টে কাজ করছেন। রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় আর রুকমা রায়ও কাজ করছেন লালকুঠি-তে। কিন্তু ১০ মাস পেরিয়ে গেলও হাতে কাজ নেই শ্রুতির। স্টার জলসার বিখ্যাত মেগা ‘ক্রিনয়নী’ আর জি বাংলার ‘দেশের মাটি’ করা নায়িকা কেন আসছেন না পরদায়? উত্তর দিলেন তিনি নিজেই।
শ্রুতি সাফ জানালেন অনেক অডিশন দিয়েছেন। এমনকী পার্শ্ব চরিত্র বা খলনায়িকার জন্য়ও। কিন্তু সবশেষে শুনতে হয়েছে ‘বাবু ভালো হয়েছে কিন্তু এটায় আমরা নিতে পারব না তোকে’। এমনকী বারবার টলিউড থেকে তাঁকে বলা হচ্ছে, ‘তোর মতো চরিত্র পেলেই আমরা ডাকব। তুই চিন্তা করিস না।’ এদিকে শ্রুতি নিজেও জানেন না, এই ‘তোর মতো’ চরিত্রটা আসলে ঠিক কী। আরও পড়ুন: ‘জগদ্ধাত্রী’র কাছে হেরে গেল ‘মিঠাই’! ১ নম্বরে ‘ধুলোকণা’ না ‘গাঁটছড়া’?
অভিনেত্রী আসলে বারবার কটাক্ষের সামনে হন শ্যামলা গায়ের রঙের জন্য। এখনও মানুষ প্রথাগত নায়িকা চরিত্রে ‘কালো’ কাউকে ভাবতে পারেন না। আর এটাই হয়তো কাল হয়েছে। যদিও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে আরেকটা খবর আছে যে শ্রুতির ‘অ্যাটিটিউড’ একটু বেশি। যাতে অভিনেত্রীর উত্তর, ‘আমি বাড়িতেও এরকম। নিজের মায়ের সঙ্গেও এভাবেই কথা বলি। আপনারা আমার বাড়িতে এলেও আমাকে এভাবেই পাবেন।’ আরও পড়ুন: শাকিবের আমেরিকার বাড়িতে লুকিয়ে মেয়ের জন্ম দেন বুবলী, দাবি বাংলাদেশের মিডিয়ার
সম্প্রতি মহালয়াতে দেখা মিলেছে শ্রুতির। কালার্স বাংলার ‘মহালয়া’ স্পেশ্যাল অনুষ্ঠান ‘দেবী দশমহাবিদ্যা’র অংশ হয়েছেন। দেবী কালী রূপে ধরা দিয়েছেন তিনি। অনেকেই প্রশংসা করেছে তাঁর। শ্রুতির নাচের প্রশংসাও হয়েছে। আপাতত নিজের ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছেন। ছোট পরদায় কবে ফিরবেন, সেটাই এখন প্রশ্ন।