মোদক গ্রুপের রান্নাঘরে আগুন লাগানোর পিছনে যে মিঠাইয়ের হাত নেই তা প্রমাণ হয়ে গেল। হাঁফ ছেড়ে বাঁচল দর্শক। প্রিয় মিঠাইকে ‘দোষী’ মানতে রাজি ছিল না কেউই। তবে, কথায় কথায় যতই ঝগড়া লাগুক, মিঠাইকে বাঁচাতে বিদেশ থেকে ছুটে আসে সিদ্ধার্থ। আর লেগে পড়ে প্রমাণ জোগাড় করতে। আর তারপরই হাতে আসে মোক্ষম প্রমাণ।
বিদেশ থেকে ফিরে সবার আগে মিঠাইকে জেল থেকে ছাড়ায় সিদ্ধার্থ। এরপর আসল দোষীকে খুঁজতে দিন-রাত এক করে দিয়েছিল সে। যদিও মাখনলাল হাতে আসতেই সোমের মুখে ভয়ের ছাপ দেখে কিছুটা আন্দাজ করেছিল মিঠাই, কিন্তু নিজের সন্দেহ সে লুকিয়েই রেখেছিল।
তবে বাজি মারে সিদ্ধার্থ। ভোরবেলায় মর্নিং ওয়াকের সময় রান্নাঘরের পাশেই রাখা গাড়ির ড্যাশ-ক্যাম থেকেই মেলে আসল দোষীর সূত্র। যা সে পেনড্রাইভে করে সোজা নিয়ে যায় নিজের পুলিশ বন্ধুর কাছে। ক্যামেরা রেকর্ডিংয়ে সোমের পাঞ্জাবি দেখা মাত্রই মিঠাই বুঝতে পেরে যায় কার কাজ এটা! বাড়ি ফিরেই সোমদের সেই পাঞ্জাবি মিঠাইয়ের হাতে চলে আসে। আর নিজের সন্দেহ সে প্রকাশ করে গোপালের কাছে। আর সিদ্ধার্থ বুঝে যায় কাকে সন্দেহ করছে মিঠাই।
এদিকে, মিঠাই-সিদ্ধার্থের ঘরে আড়ি পাতছিল সোম। ঘর থেকে বেরোতেই সোমকে ওভাবে দেখে চেপে ধরে সিদ্ধার্থ। দাদার ওপর সন্দেহ করায় সম্পর্ক নষ্ট হবে বলে বারবার দোহাই দিতে থাকে সোম। যদিও সেসব পাত্তা না দিয়ে জোরে চেপে ধরে সোন। আর সেই সময়তেই আসে তোর্সার ফোন। যার থেকে প্রমাণ হয়ে যায় সব অপরাধ। এখন দেখার দোষী সোমের কী শাস্তি দেয় মোদক পরিবার।