মা তথা বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের বায়োগ্রাফি লিখতে চান, সেই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী-লেখিকা সোহা আলি খান। যদিও এ কাজের জন্য তিনি 'সঠিক ব্যক্তি' কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী-লেখিকা।
অভিনেতা-স্বামী কুণাল খেমুর সঙ্গে লিগ্যান লুমিনারি রাম জেঠমালানির উপর একটি বায়োপিক সহ-প্রযোজনা করছেন। খেমুকে নিয়ে একাধিক শিশুদের জন্য বই লেখার পাশাপাশি একটি স্মৃতিকথাও লিখেছেন। ‘দ্য পেরিল অফ বিয়িং মডারেটলি ফেমাস’ লেখক বলেছেন, বার বারই মা তাঁকে পরবর্তী বই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। প্রবীণ অভিনেত্রী খুশি হবেন, ‘আমি যদি তাঁর জীবনী লিখি’।
সোহা আলি খান আরও বলেছেন, ‘আমিও লিখতে চাই। বাড়ির সবার খুব কাছের হবে। তবে অনেকে ভাবতে পারে, ও কি ব্যক্তিত্বের ধূসর দিকগুলি তুলে ধরতে পারবে, আদতে তো নিজেরই সন্তান’। আরও পড়ুন: মেয়ের ওপেন হার্ট সার্জারির সময় মনের অবস্থা কেমন ছিল, মুখ খুললেন করণ সিং গ্রোভার
পিটিআইতে ‘তুম মিলে’ অভিনেত্রী বলেছেন, ‘তবে আমি তাঁর সম্পর্কে একটা গল্প লিখতে পারি। কিন্তু আমি জানি না এটি তাঁর ব্যক্তিত্বের সমস্ত দিকগুলির সম্পর্কে ন্যায়বিচার হবে কিনা এবং জানি না সন্তান হিসেবে আমি তাঁর সম্পর্কে সবকিছু শেয়ার করতে পারব কিনা। সত্যি বলতে, আমি সেই গল্পটা বলতে চাই’। রং দে বাসন্তী অভিনেত্রী বলেছেন, শুধু তার মা নয়, তাঁর বাবা কিংবদন্তি ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদি সম্পর্কে বলার জন্য একটি দুর্দান্ত গল্প রয়েছে।
‘তথ্যের ভাণ্ডার রয়েছে। প্রচুর বিষয়বস্তু রয়েছে’, বলেছেন সোহা। সঙ্গে আরও জানিয়েছেন, তাঁর দাদা সইফ আলি খান পড়তে খুব ভালোবাসেন। পরিবারের এমন ব্যক্তি যিনি সেই দায়িত্বটা নিতে পারেন।
বরের সঙ্গে বিখ্যাত ইন্নি এবং বোবো সিরিজে তিনটি শিশু বিষয়ক বইয়ের সহ-লেখক হওয়ার পরে, তিনি বলেছিলেন যে ‘আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে একটি বই’ রয়েছে এবং এটি লেখার ক্ষেত্রে ‘শৃঙ্খলা এবং অনুশীলন’ থাকা জরুরি। লেখার কথা আসতেই নিজের মধ্যে থাকা কোনও একটা অভাব বোধ করেছেন তিনি।
একটি বাদাম কোম্পানি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে অভিনেত্রী-লেখিকা বলেছেন, ‘এটি একটি অনুশীলনের মতো, এটি একটি শৃঙ্খলা এবং যখন সেই শৃঙ্খলা নিজের মধ্যে থেকে চলে যায় তখন আপনি জানবেন এটি এক ধরণের দুঃখ। তাই আমি তাঁকে (আমার মাকে) বলতে থাকি যে, আমি এটিতে ফিরে যেতে চাই… অনেক বই আছে কিন্তু আমি কীভাবে সেগুলি লিখব? আমার মধ্যে কোনও শৃঙ্খলা নেই। এবং আমি জীবনকে খুব বেশি উপভোগ করছি’।
খোয়া খোয়া চাঁদ অভিনেত্রী যিনি এই বছরে ইন্ডাস্ট্রিতে দুই দশক পূর্ণ করবেন বলেছেন তিনি এখন থ্রিলারে কাজ করতে চান, যেটা তিনি আগে করেননি। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর প্রিয় পরিচালকদের মধ্যে কয়েকজন হলেন সুজিত সরকার, শ্রীরাম রাঘবন, হংসল মেহতা এবং তনুজা চন্দ্র।
বছর ৪৫-এর অভিনেত্রী বলেছেন, তিনি সবসময় ভালো গল্পের প্রতি আকৃষ্ট হন। ভালো লেখকদের থেকে নেওয়া প্রোজেক্টের অংশ হতে চান। সোহাকে আগামীতে নুসরত ভারুচার সঙ্গে হরর ফিল্ম ‘ছোরি ২’-এ দেখা যাবে।