সোহিনী-শোভন প্রেম করছেন। টলিপাড়ায় কিছুদিন আগে পর্যন্ত এখবর ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। তবে এখবরে এখন সিলমোহর পড়েছে। কিছুদিন আগেই শোভনের বুকে মাথা রেখে বসন্তেই প্রেমের ইস্তেহার করেছেন সোহিনী। ক্যাপশানে গানের লাইন জুড়ে লিখেছিলেন, ‘যেন কিছু মনে করো না, কেউ যদি কিছু বলে, কত কী যে সয়ে যেতে হয় ভালোবাসা হলে...!’
আর এবার ফের একবার বয়সে ছোট গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রেম নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন সোহিনী। তবে তাঁরা কিছু না বললেও অনেক আগে থেকেই লোকজন যে তাঁদের প্রেম নিয়ে কথা বলছেন সেকথা সোহিনীরও অগোচর নেই। এ প্রসঙ্গে সংবাদ প্রতিদিন-কে সোহিনী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা কিছুই বলিনি, তবে অনেকেই আমাদের নিয়ে অনেক কিছু বলছে। বলার তো সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে না। এখনও সময় আছে। পূর্ব সম্পর্ক আমায় শিখিয়েছে যে অত তাড়াহুড়ো করে লাভ নেই।’ সোহিনীর কথায়, ‘আলাদা করে কিছু বলার নেই, আমরা ভালো আছি।’
হুগলিতে প্রচারে তৃণমূলের রচনা, ব্যস্ততার ফাঁকেই শুনলেন, BJP-তে যোগ দিলেন প্রাক্তন স্বামী সিদ্ধান্ত
আরও পড়ুন-বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন, তবু অনুপম বলছেন নতুন বউ-এর সঙ্গে বিশেষ পরিকল্পনা কিছুই নেই…!
কিছুদিন আগে ৬ বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিদেশ থেকে ঘুরে আসার পর সম্প্রতি যে তাঁরা শান্তিনিকেতনেও গিয়েছিলেন, সেকথাও মেনে নেন সোহিনী। অভিনেত্রী জানান, ‘শান্তিনিকেতন গিয়েছিলাম, তবে বেড়াতে নয়, পেশাদার কারণেই। নব নালন্দা স্কুলের একটা শো ছিল। শোভনের গান আর আমার পাঠ ছিলাম। এই প্রথম নিজের লেখা স্ক্রিপ্টে শো করলাম।’
আর বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে সোহিনী সরকার জানান, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ডে গিয়েছিলাম। ভালো লেগেছে জানিয়েও বলেন, শীতের পোশাক, বিদেশি টাকা, পাসপোর্ট সামলাতেই হিমসিম খেয়েছেন। মাথার মধ্যে ঘুরেছে হাজারো হিসেবপত্র। তখন নাকি তাঁর মনে হয়েছে শান্তি আসলে কাঁকড়াঝোড়, ম্যাকলাস্কিগঞ্জে গিয়েই।
সবাই তাঁদের বিয়ের কথা জানতে চায়। একথা সোহিনীর সাফ বক্তব্য, ‘সবাইকে জানানোর দায় তো আমার নেই। শুধু আমার আত্মীয়স্বজন, শোভনের পরিবারের লোকজন, আর কাছের লোকজন জানলেই হবে।’
এদিকে সম্প্রতি নতুন বাড়ি কিনেছেন সোহিনী সরকার। সেই বাড়িতে তাঁর প্রিয় জায়গা নিয়ে জিগ্গেস করা হলে সোহিনী বলেন, ‘এক্কেবারেই নতুন তো, তাই প্রিয় স্পেস এখনও তৈরি হয়নি। তবে আমার মনে হয়েছে বাড়িটা বাড়ির মতোই হোক। ফলস সিলিং থাকবে না। অন্যান্য আলোর মতো টিউব লাইট থাকবে। একটা সুন্দর বারান্দা, গাছ আছে প্রচুর, পাখি আসবে এই আশায়।’