বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির অতি পরিচিত নাম সৌমিলি ঘোষ বিশ্বাস। বাংলা ছবিতেও কাজ করেছেন। অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী সৌমিলি। তবে আজকাল সেভাবে হাতে কাজ নেই তাঁর। মাঝে অভিনেত্রীর বিচ্ছেদে আর পরকীয়ার গুঞ্জনও মাথাছাড়া দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই নিয়ে মিডিয়াতেও লেখালেখি হয় মাস কয়েক আগে।
তবে ডিভোর্সের গুঞ্জন নিয়ে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন সৌমিলি। পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী অয়ন ঘোষকে ২০১২ সালে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। তারপর থেকেই সুখী গৃহকোণ দুজনের। বছর খানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ করেই বাচিক শিল্পী সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন, সৌমিলি নাকি বিয়ে করতে চলেছেন নৃত্যিশিল্পী অর্ণব বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে, সংসার ভাঙছে নায়িকার।
হ্যাঁ, এখান থেকেই শুরু সৌমিলির পরকীয়ার গুঞ্জন। নৃত্যশিল্পী অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাকি প্রেম করছন অভিনেত্রী! সম্প্রতি নিবেদিতা অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌমিলি জানান, ‘কেউ যদি মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায়, কম্প্রোমাইজ না করতে চায় ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁদের লড়াইটা আরও শক্ত হয়ে যায়। যিনি এই বিষয়টা ছড়িয়েছেন, সুজয়প্রসাদ (চট্টোপাধ্যায়) তিনি কিন্তু আমার বন্ধু আর যাঁকে নিয়ে ছড়িয়েছেন অর্ণবদা (বন্দ্যোপাধ্যায়) তিনি আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমার থেকে অনেকটাই বড়। আমি থাঙ্কমণি কুট্টির কাছে নাচ শিখেছি, তারপর আমার নাচটা পলিস করেছন অর্ণবদা। তাই তিনি আমার গুরুস্থানীয়। আজও মঞ্চে ওঠার আগে আমি ওঁনাকে প্রমাণ করি’।
অভিনেত্রী জানান, ছেলেবেলা থেকেই অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাচ করেন তিনি। মঞ্চে একসঙ্গে বহু ডান্স ড্রামা করেছেন তাঁরা। তাঁদের অন স্টেজ কেমিস্ট্রি সকলেই পছন্দ করে। ২০০২ সালের আশেপাশের সময় থেকেই একসঙ্গে স্টেজ শেয়ার করেন তাঁরা। হঠাৎ করে সুজয় প্রসাদ কেন রটালো এমন কথা? সৌমিলির সাফ জবাব, ‘আমি জানি না। ও ইয়ার্কি করতে ভালোবাসে। আমাদের এক শো-এর দিন একজন আমাদের নিয়ে পোস্ট করেছিল। সেখানে কমেন্ট বক্সে সুজয় লিখেছিল-‘সৌমিলি না থাকলে অর্ণব অনুষ্ঠান করবে না। তাই কোনো উপায় নেই। শুনলাম এবার দুজনেই বিয়ে করবে।… আমি সেটা জানতামও না। নাচের অনুষ্ঠানের দিন জানোই মানুষ কতটা ব্যস্ত থাকে। রাতে অনুষ্ঠান শেষে একজন বলছে, সুজয় আজ যা ছড়িয়েছে না…. তখন সুজয় আমার সামনে বসে খাচ্ছে। আমি জানতে চাই কী হয়েছে? অর্ণবদা বলেছিল যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে ছেড়ে দাও’।
সৌমিলি আরও বলেন, ‘আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে এই বিষয়গুলো নিয়ে আমার স্বামী, যে আমার সবচেয়ে বড় বন্ধু বা আমার শ্বশুর-শাশুড়ি কোনওদিন প্রশ্ন করেনি।’ পরবর্তীতে অভিনেত্রী সুজয়কে কাঠগড়ায় তুললে তিনি জানিয়েছিলেন ইয়ার্কি করেই পুরোটা লিখেছিলেন তিনি!