পুজোয় তারকাদের সাজ কেমন হতে চলেছে তা জানতে মুখিয়ে থাকে আমজনতা। তবে তার মধ্যে শোভন আর বৈশাখীর সাজ নিয়ে আলাদাই উন্মাদনা। এমনিতেই দুজনে রং মিলিয়ে পোশাক পরতে খুব ভালোবাসেন। বৈশাখী বরাবারই বলে আসছেন পুজোর পাঁচদিন তিনি শাড়ি পরতেই ভালোবাসেন। আর শোভনকেও বলেন, যেন তিনি পঞ্জাবির নীচে ধুতিই পরেন। একেবারে খাঁটি বাঙালিয়ানায় সেজে ওঠেন তাঁরা।
তবে এবারে পুজোর শেষ দিকে আর কলকাতায় থাকছেন না। তিন জনে মিলে যাচ্ছেন কলকাতার বাইরে। তাই এক সংবাদমাধ্যমের হয়ে দ্বিতীয়াতেই খেলে নিলেন সিঁদুর। একেবারে মাথা ভরে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন বৈশাখীকে। শোভনের কপালে সিঁদুরের টিপ পরিয়ে নমস্কার করলেন বৈশাখী। এরপর মহুলের গালেও সিঁদুর মাখান শোভন আর বৈশাখী।
সিঁদুর খেলার পর বিশ্ব বাংলা সংবাদকে শোভন বলেন, ‘সিঁদুরের মর্যাদাটা মনের থেকে তৈরি হয়। সেই মনই সিঁদুরকে প্রতিষ্ঠা দেয়। শুধু কয়েকটা সই দেয় না। মনের মিলনই সিঁদুরের পরিস্ফুটন।’
এর আগেও ঠাকুরের সামনে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। প্রকাশ্যে বান্ধবীকে সিঁদুর পরিয়ে কটাক্ষে এসেছিলেন ‘বিবাহিত শোভন’। তবে সেসবে কোনওদিনই ভীত হন না তাঁরা। বরং তাঁদের সম্পর্কে আইনি স্বীকৃতি না থাকলেও, আছে ভালোবাসা। যা তাঁদের একসঙ্গে বেঁধে রেখেছে।
প্রাক্তন মনোজিতের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর থেকেই শোভনের সঙ্গে থাকা শুরু। সব বিপদে-আপদে একে-অপরকে আগলে রেখেছেন। এখন যদিও আলাদা হয়ে গেছেন তাঁরা। ডিভোর্সের আইনি কাজ শেষ। সম্প্রতি বৈশাখীকে বলতে শোনা গিয়ছে, ‘আমি আর শোভনের কেউই নিজেদের যৌবনে নেই। এই বয়সে এই সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তার পিছনে প্রগাঢ় ভালোবাসা থাকতে হবে। ভালোবাসাটাই থাকতে হবে, কারণ শারীরক সম্পর্কের সুখ তা অনেক আগেই পিছনে ছেড়ে এসেছি।’
ডিভোর্স নিয়ে এখনও লড়ে যাচ্ছেন শোভন। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই লড়াই শেষ হলেই, নতুন সম্পর্ককে আইনি মর্যাদা দেওয়ার কথাও ভেবে রেখেছেন দুজনে। এমনকী, বৈশাখী কন্যা মহুল অর্থাৎ রিলিনাকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছেও রয়েছে শোভনের। যদিও বাবার মতোই আগলে রাখেন তিনি মহুলকে। ভালোবেসে দুজন-দুজনকে ‘দুষ্টু’ বলে ডাকে। শোভনকে ‘বাবা’র মর্যাদা দেন মহুল নিজেও। যত আবদার মায়ের থেকে বেশি, এই ‘বাবা’র কাছেই। পুজোতেও ঠাকুর দেখতে নিয়ে যাওয়ার বায়না করে সেই শোভনের কাছেই।