বাড়ির সামনে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে থেকে এই ঘটনা ঘিরেই হইচই পড়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কপাল ফেটে রক্ত বের হতে দেখা যায়। যদিও তাঁকে তৎক্ষণাৎ নিয়ে যাওয়া হয় SSKM হাসপাতালে। জানা যায় মুখ্যমন্ত্রীর কপালে বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। যদিও চিকিৎসার পর ওইদিন রাতেই বাড়ি ফেরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই পড়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। শুরুতে জানা গিয়েছিল, ওনাকে কেউ ধাক্কা দেওয়ার কারণেই নাকি মুখ্যমন্ত্রী পড়ে গিয়েছেন। যদিও তৃণমূলের তরফে পরে জানানো হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছেন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পড়ে যাওয়ার ঘটনার পর ফেসবুকের পাতায় কারোর নাম না করে একটা পোস্ট করেন বাম সমর্থক, অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। লেখেন, ‘মেকআপ আর্টিস্ট টা কে ভাই? পরবর্তী অস্কার নমিনেশন এর জন্য খোঁজা হচ্ছে।' তবে অভিনেত্রী কোন বিষয়ে, কেন একথা লিখেছেন তা বুঝে নিতে কারোর অসুবিধা হয়নি নেটপাড়ার বাসিন্দাদের। শ্রীলেখার পোস্টের নিচে উঠে আসে নানান মন্তব্য।
শ্রীলেখার এই পোস্টের নিচে এক নেটিজেন লেখেন,' নতুন যাত্রাপালা- ভোট এলেই চোট'। আবার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আরেকজন লিখেছেন, ‘এই season এর নাম হচ্ছে: মাথায় বাঁধা ওহীলচাইর’। কেউ আবার মেকআপ আর্টিস্টের নাম হিসাবে 'রুদ্রনীল ঘোষ'-এর নাম নিয়েছেন, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শ্রীলেখা। কেউ আবার এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘ফাইট মাস্টারটা কে তা জানা গেল!’ এই প্রশ্নে আরেকজনের থেকে উত্তর এসেছে, ‘শোভন দ্যা বক্সার’।
কারোর মন্তব্য, ‘কাল থেকে আলতার শিশিটা খুঁজে পাচ্ছি না, নাহ, এমনই বললাম আর কী!’ কেউ লিখলেন, ‘গতকাল থেকে টম্যাটো সসের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না শুনলাম।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ধুর ধুর তুমি এরকম বলছ,,, একে তো তৃতীয় নয়ন খুলে গেছে,, তারওপরে মানুষটা এতটাই সিঙ্গেল যে গড়িয়ে পড়া লাল জল টুকুও মুছিয়ে দেওয়ার লোক নেই !! স্যাড লাইফ !!...’
নাহ শ্রীলেখা অবশ্য এসব মন্তব্যের নিচে পাল্টা মন্তব্য করেননি। এদিকে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর পড়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফেসবুকের পাতায় কারোর নাম না করে একটা পোস্ট করেছিলেন বামপন্থী নাট্যব্যক্তিত্ব এবং পরিচালক সৌরভ পালোধিও। তিনি লিখেছিলেন, ‘কপালে’ কি আছে কে জানে। নিজের পোস্টে 'কপালে' শব্দটি কোটেশনের মধ্যে রাখেন সৌরভ পালোধি। তবে তিনিও কোন বিষয়ে এবং কেন একথা লিখেছেন তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি নেটপাড়ার বাসিন্দাদের। সৌরভ পালোধির পোস্টের নিচে উঠে আসে নানান মন্তব্য।