৬ মার্চ বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। অভিনেতার এটা তৃতীয় বিয়ে। আগের দুটো বিয়ে সেভাবে সফল না হলেও, নতুন জীবন নিয়ে আশাবাদী তিনি। গলায় মালা দিতে চলেছেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজের। টিভির দুনিয়ায় পরিচিত মুখ শ্রীময়ী। কাঞ্চনের সঙ্গেও আলাপ অনেকদিনের। বহুদিনের ভালোবাসা এবার পরিণতি পাওয়ার অপেক্ষায়।
বিয়ে নিয়ে স্বভাবিকভাবেই উত্তেজনা কনের মনে। সব কিছু খুব জলদি ঠিক হওয়ায়, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। ইচ্ছে ছিল মুম্বইয়ের এক বন্ধু ডিজাইনারকে দিয়ে বিয়ের পোশাক ডিজাইন করাবেন। কিন্তু সময়ের অভাবে তা হয়ে ওঠেনি। নিজেই প্ল্যান করেছেন সবটা। ৬ মার্চের অনুষ্ঠানের জন্য হো-চি-মিন সরণির বুকে অবস্থিত ১১৪ বছরের পুরনো হেরিটেজ প্রাপার্টি গ্যারেলিয়া ১৯১০ ভাড়া করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অমিতাভ নন, বগবনে কাজ করার কথা ছিল এই কিংবদন্তি অভিনেতার! বদলে যেত সিনেমার ইতিহাস
এরই মাঝে ভাইরাল হবু কনের পুরনো একটি সাক্ষাৎকার। যেখানে দাবি করেছিলেন, তিনি খুব ঘরোয়া। পার্টিপ্রেমী নয় সেভাবে। কাজ ভালোবাসেন, আর কাজ শেষে পরিবারকে নিয়ে সময় কাটাতে। অবশ্য ঘুমও প্রচণ্ড প্রিয়। তাঁর দাবি যেখানে-সেখানে ঘুমিয়ে পড়ার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। বলেছিলেন, ‘বিছানা, সোফা, সব জায়গাতেই আমি পারি ঘুমিয়ে পড়তে। পাশে যদি জোরে-জোরে আওয়াজও হয় আমি নির্দ্বিধায় পারি ঘুমিয়ে পড়তে। আমার কোনও অসুবিধাই হয় না।’
আরও পড়ুন: কেন বিয়ের ৫ দিন আগেই আইবুড়ো ভাতের অনুষ্ঠান হল কাঞ্চন-শ্রীময়ীর, কীসের এত তাড়া?
ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে মেহেন্দি-সংগীতের অনুষ্ঠান। এমনকী, আইবুড়ো ভাতও খাওয়া হয়ে গিয়েছে। মেহেন্দির আয়োজন করা হয়েছিল শ্রীময়ীর বাড়িতেই। কমলা রঙের একটি লেহেঙ্গা পরেছিলেন এদিন শ্রীময়ী। আর শুক্রবার দুই বাড়ির তরফে আলাদা আলাদা করেই আয়োজন করা হয়েছিল আইবুড়ো ভাতের। কাঞ্চনের গায়ে ছিল লাল সুতোর কাজ করা ধুসর রঙের পঞ্জাবি। আর শ্রীময়ী পরেছিলেন গোলাপি সিল্কের শাড়ি। দুজনের বাড়ির খাবারের মেনুতেই ছিল ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, সবজি, ডাল, মাছের মাথা, মাছের আরও নানা পদ, চাটনি, মিষ্টি, দই।
আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থার খবরের পর ইনস্টায় প্রথম পোস্ট দীপিকার, ৬ ছবিতে কি দেখা গেল বেবিবাম্প
১০ জানুয়ারি পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ডিভোর্স ফাইনাল হয় কাঞ্চনের। দ্বিতীয় বউয়ের সঙ্গে হাতে গুণে ১ মাসও সংসার করেননি বলে দাবি করেছিলেন কাঞ্চন। মোটা খোরপোশ দিয়েছেন তিনি স্ত্রী ও ছেলের ওশের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে। এখন ৫৩ বছর বয়সে এসে জীবনটা শুরু করতে চান নতুন করে। আপদে-বিপদে দীর্ঘসময় তাঁকে সামলেছেন শ্রীময়ী। এবার সেই যত্নবান বন্ধু, সঙ্গীকেই স্ত্রী-এর মার্যাদা দিয়ে ঘর বাঁধার পালা।