প্রত্যেকের জীবনে সফলতার পিছনে অনেকগুলো অসফল গল্প রয়েছে। তেমনি গায়িকা সুনিধি চৌহানের জীবনেরও রয়েছে তেমনই কিছু গল্প। দু'জন বিশিষ্ট সংগীত পরিচালকের কাছে একময় সমালোচনা শুনতে হয়েছিল গায়িকাকে। একজন নাকি তাঁকে বলেছিলেন, তাঁর ব্যাগপত্র গুটিয়ে বাড়িতে চলে যাওয়া উচিত। কিন্তু পরবর্তীকালে সুনিধি সাফল্য অর্জনের পর তাঁদের সঙ্গেই নাকি কাজ করেছেন গায়িকা।
এক সাক্ষাৎকারে সুনিধি জানিয়েছেন, এক পরিচালক একসময় তাঁকে বলেছিলেন, তাঁর কণ্ঠ পুরুষদের মতো। তবে পরে একসঙ্গে তাঁরা কাজ করেছিলেন এবং এই সমালোচনাটি ভুলে গেছিলেন।
বলিউড বাবলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুনিধি জানিয়েছেন, সেই সময় সেগুলো আমার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। আমি এমন কোনো কথা শুনতে চাইতাম না, তবে ‘তোমার নিজের ব্যাগপত্র গুছিয়ে বাড়ি চলে যাওয়া উচিত কারণ লাগ যা গালে গানটা তুমি অরজিনাল কি-তে গাইতে পারোনি’ শুনতে হয়েছিল তাঁকে।
প্রসঙ্গত, সেই সময় এক নামী সংগীত পরিচালকের কাছে তিনি গিয়েছিলেন এবং তিনি সুনিধিকে ‘লাগ যা গালে’ গাইতে বলেছিলেন। লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া এই গান ভীষণ লো-কি তে গেয়েছিলেন সুনিধি। সংগীত পরিচালক তাঁকে আরো উচ্চ সুরে গাইতে বলেছিলেন। এবং আরো বলেছিলেন, সুনিধি সেই নোট স্পর্শ করতে পারছে না। গায়িকাকে বলেছিলেন, ‘যাও বাড়ি গিয়ে রেওয়াজ করে এসো’।
গায়িকা আরো বলেন, ‘অন্য আরো এক সংগীত পরিচালক আমাকে বলেছিল, ‘এই ধরণের কণ্ঠ কাজ করেনা, তোমার কণ্ঠ খুব ভারি। শুনে একটা অভিনেত্রীর গলায় পুরুষের কণ্ঠস্বর মনে হবে। ব্যাগ প্যাক করো। এখনো এক-দুই বছরের ব্যাপার, বাড়ি চলে যাও’।
প্রসঙ্গত, ধুম মাচালে, ছালিয়া, কেইসি পাহেলি এবং শিলা কি জাওয়ানি গানে তিনি সেই দুই সংগীত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন গায়িকা। তবে তাঁদের প্রাথমিক সমালোচনা সম্পর্কে তাদের ‘স্মৃতিশক্তি হ্রাস’ পেয়েছে বলে মনে হয়েছে গায়িকার।
প্লেব্যাকে গাওয়া ছাড়াও সুনিধিকে টেলিভিশনে সংগীত রিয়েলিটি শোয়ের বিচার হিসেবে দেখা গেছে। তিনি ইন্ডিয়ান আইডল-এর আগের মরসুমে বিচারক ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ‘দ্য রিমিক্স’ এবং ‘দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি (সিজন ২)’ শোতে বিচারক হিসাবে দেখা গেছে গায়িকাকে।