তাঁর ‘ঢাই কিলো’র হাত নিয়ে দশকের পর দশক ধরে চর্চা জারি রয়েছে। বলিউডের অন্যতম ফিট অভিনেতা সানি দেওল। যদিও ফিটনেসের মামলায় গতে বাঁধা ছকে বিশ্বাসী নন ষাটোর্ধ সানি। আশির দশক থেকে বলিউড কাঁপাচ্ছেন ধর্মেন্দ্রর বড় ছেলে। দর্শকদের অজস্র হিট ছবি উপহার দিয়েছেন সানি, যদিও আজকের প্রজন্মকে দেখে খানিক হতাশ ‘দামিনী’ অভিনেতা। তাঁর ধারণা তরুণরা অভিনয়ের চেয়ে বেশি ফোকাস করছে শরীর চর্চায়। পাশাপাশি তিনি আরও জানান শরীরের লোম কামানোর বিষয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁর।
আজ তককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সানি বলেন, ‘আমার তো খুব লজ্জা লাগে শরীরের লোম তুললে, মনে হয় মেয়েদের মতো দেখাচ্ছে’। তিনি আরও বলেন, সিক্স প্যাক অ্যাবস তৈরি নিয়েও কোনওদিন মাথা ঘামাননি তিনি। সানির কথায়, ‘আমরা অভিনেতা, বডি বিল্ডার নই। আমি সত্যি এইগুলো বুঝি না। আমরা অভিনয় করতে এসেছি বডি বিল্ডিং নয়। অথচ শরীর তৈরি নিয়ে আমাদের এই মাতামাতির জন্যই এখন আমরা এমন প্রজন্ম পাচ্ছি যাঁরা ভাবে আমার সুঠাম দেহ রয়েছে মানেই আমি অভিনেতা, কিংবা আমি ভালো নৃত্যশিল্পী মানেই আমি অভিনেতা’।
পাশাপাশি অভিনেতার আক্ষেপ অরিজিন্যাল গল্প নিয়ে কাজ করা কমে এসেছে বলিউডে। সেই কারণেই দর্শক হারাচ্ছে হিন্দি সিনেমা। শীঘ্রই ‘গদর ২’ নিয়ে পর্দায় ফিরছেন সানি। সত্তরের দশকের প্রেক্ষাপটে তৈরি পরিচালক অনিল শর্মার এই ছবি। বাস্তবের মতো পর্দাতেও তারা আর সাকিনার গল্প এগিয়েছে ২২ বছর। এবার স্ত্রী নয়, ছেলেকে উদ্ধার করতে পাক-ভূমে পর্দাপণ করবে তারা সিং। এবার সেই রুদ্রমূর্তি তারা। ছবির ট্রেলার আগেই প্রশংসা কুড়িয়েছে।
গদর ছবিতে সানি-আমিশার ছেলে জিতে ওরফে চরণজিৎ-এর ভূমিকায় অভিনয় করা উৎকর্ষ শর্মাও থাকবেন এই ছবিতে। গদর-এর দ্বিতীয় ভাগের অংশ হবে চরণজিৎ-এর প্রেমকাহিনিও। তাঁর নায়িকার ভূমিকায় রয়েছেন সিমরত কৌর। আগামী ১১ই অগস্ট বক্স অফিসে মুক্তি পাবে ‘গদর ২’। প্রসঙ্গত, সানির পদচিহ্ন অনুসরণ করে অভিনয়ের দুনিয়াতে আগেই পা রেখেছেন তাঁর বড় ছেলে করণ দেওল। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল করণ অভিনীত ‘পল পল দিল কে পাস’। শীঘ্রই সানির ছোট ছেলেও অভিনয়ের জগতে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। ছবির নাম ‘দোনো’। করণের ব্যর্থতা ভোলাতে সফল হবেন রাজবীর দেওল? সেটাই এখন দেখবার।