‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবির অন্যতম ওয়াও মোমেন্ট বোধহয় ধর্মেন্দ্র এবং শাবানা আজমির চুমু দৃশ্য। আচমকা পর্দায় যে এমন কিছু ঘটবে সেটা অনেকেই ভাবেননি। কিন্তু এই দৃশ্য যে ভক্তদের মন জয় করেছে সেটা নির্দ্বিধায় বলাই যায়। কিন্তু ৮৭ বছরে এসে অনস্ক্রিন চুমু! নাতির বিয়ে হয়ে গিয়েছে, এমন অবস্থায় এই কাণ্ড দেখে কী বলছেন ধর্মেন্দ্র পুত্র সানি? তিনিও কি অভিনেতার পর্দার ছেলে তিজোরির মতো আঁতকে উঠেছিলেন। নাকি পর্দার বউ জয়া বচ্চন থুড়ি ধনলক্ষ্মীর মতো ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হয়েছিলেন?
গত ২৮ জুলাই মুক্তি পেয়েছে করণ জোহর পরিচালিত ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’। আদ্যোপান্ত বলিউডি ফ্যামিলি ড্রামা ৮ থেকে ৮০ সবার মন জয় করেছে। ভরপুর কমেডি, ইমোশনাল দৃশ্যে ভরপুর এই মশলা ছবির অন্যতম ইউএসপি কিন্তু আগে উল্লেখ করা দৃশ্যটি। সেই দৃশ্য নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা চলছে। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সানি দেওল। NDTV -কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বললেন, তিনি এখনও ছবিটি না দেখলেও শাবানা আজমিকে তাঁর বাবা অনস্ক্রিন চুমু খেয়েছেন সেটা শুনেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন তাঁর বাবা এখনও বিনয়, সততার সঙ্গে সবটা করতে পারেন।
এই সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, 'আমার বাবা সব করতে পারে। আমি তো বলব তিনিই একমাত্র অভিনেতা যিনি এটা করতে পারতেন। আমি এখনও ছবিটি দেখিনি কিন্তু শুনেছি। আমি আসলে অত ছবি দেখি না। এমনকি আমি আমার নিজের ছবিই অনেক সময় দেখি না।'
সানিকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় যে তিনি এই দৃশ্যটি নিয়ে কি ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে কথা বলেছেন? তখন বলেন, 'না, আমি এমন একটা টপিক নিয়ে কীভাবে বাবার সঙ্গে কথা বলব? ওঁর ব্যক্তিত্বই এমন যে উনি সবটা করতে পারেন।'
আরও
‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবিতে দেখানো হয়েছে একটা সময় ধর্মেন্দ্র এবং শাবানা একে অন্যের প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু তখন তাঁরা দুজনেই বিবাহিত তাই সংসারের কথা ভেবে সেই সম্পর্ক তাঁরা শেষ করেন। পরবর্তীতে তাঁদের মেলাতে গিয়ে সম্পর্কে জড়িয়ে যায় তাঁদের নাতি নাতনি। তারপর কী হয় সেটা নিয়েই এই ছবি।
এখানে জয়া বচ্চনকে ধর্মেন্দ্রর বউ, রণবীরকে নাতির চরিত্রে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় এবং টোটা রায়চৌধুরী শাবানা আজমির পুত্রবধূ এবং পুত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আর তাঁদের একমাত্র কন্যা হলেন আলিয়া।
পর্দায় এই দুই বর্ষীয়ান অভিনেতার রোম্যান্টিক দৃশ্য নজর কেড়েছে সবারই। শাবানার বর জাভেদ আখতার থেকে ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী হেমা মালিনী সকলেই এই দৃশ্যের তারিফ করেছেন।