প্রায় পাঁচ বছর পর অভিনয়ে ফিরেছেন সুস্মিতা সেন। সৌজন্যে এই বঙ্গতনয়ার ডেব্যিউ ওয়েব সিরিজ ‘আর্য'। দাপুটে ব্যক্তিত্বের অধিকারি হিসাবেই সুপরিচিত সুস। স্বাধীনচেতা নারী হিসাবেই নিজের পরিচয় দিতে ভালোবাসেন সুস্মিতা সেন। শুধু মুখে বলা নয়, কেরিয়ারে শুরুতেই কন্যা সন্তান দত্তক নিয়ে এই কথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এই প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বলিউড-এর ছবিটা এখনকার চেয়ে বেশ খানিকটা আলাদা ছিল। হিন্দি ছবির গানে ‘হিরোইন’-এর অবজেক্টিফাই করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কেরিয়ার শুরুতেই হৃত্বিক রোশনের ‘ফিজা’ ছবিতে আইটেম গার্লের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সুস্মিতা সেনকে। তবে আপনারা কী জানেন মেহবুব মেরে গানটি মাঝপথে শ্যুট করতে অস্বীকার করেছিলেন সুস্মিতা সেন? সৌজন্যে এই গানের লিরিকস। সম্প্রতি হাফ পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এই রহস্য উন্মোচন করেছেন ‘মেহবুব মেরে’ গানের কোরিওগ্রাফার গণেশ হেগড়ে। তিনি বলেন, সুস্মিতা আচমকা বলল আমি এই গান শ্যুট করব না! কারণ গানের লাইন ছিল- ‘আ গরমি লে মেরে সিনে সে’ (আমার বুকের ভিতরের উত্তাপ অনুভব করো)। সুস্মিতা সাফ বলে দিয়েছিলেন এই লাইন তিনি প্রমোট করবেন না। আমি শ্যুট করব না। এরপর কী হয়েছিল? গণেশ জানিয়েছেন তড়িঘড়ি অনু মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি সুস্মিতার কথা মেনে নিয়ে, লাইন পাল্টে দিয়েছিলেন। সেটি রাখা হয়েছিল- ‘আ নরমি সে মেরে আঁখোসে’ (আমার চোখের মধুরতায় ডুবে যাও)।
এই গান পর্দায় ঝলমল করে উঠেছিল সুস্মিতার ম্যাজিকে। গণেশ বলেন, ‘ও পুরো স্ক্রিনটাকে ডমিনেট করেছিল। আমি শুরু থেকেই জানতাম ও ফাটিয়ে দেবে। মরুভূমির প্রেক্ষাপটে এই গান শ্যুট করেছিলাম’।
অনু মালিকের কম্পোজ করা এই গান গেয়েছিলেন সুনীধি চৌহান এবং করসন সারগাথিয়া। এই গান যেমন সুপারহিট হয়েছিল,তেমনই প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সুস্মিতা। আইটেম গার্ল হয়েও যে ২০ বছর আগে বলিউডকে বদলে দিতে সফল হয়েছিলেন সুস্মিতা সেন, সত্যিই কুর্ণিশযোগ্য সুস্মিতার এই ভাবনা।