জীবনটা নিজের শর্তে বাঁচেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বরাবর অকপট-অনায়স স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দকদের এক হাত নিতে দু-মিনিট সময় লাগে না তাঁর। স্বস্তিকার সাজ-পোশাক সবসময়ই থাকে চর্চায়। যে কোনও পোশাকে আত্মবিশ্বাসী তিনি, প্রয়োজনে এক টুকরো তোয়ালেতেও!
বলিউডের বিদ্যা বালানের শাড়ি ফ্যাশন যদি সবচেয়ে চর্চিত হয়, তাহলে টলিপাড়ায় স্বস্তিকার শাড়ি কালেকশন নিয়ে আলোচনা সবচেয়ে বেশি। শাড়ির পাশাপাশি স্বস্তিকার পরা ব্লাউজ থুড়ি ‘বেলাউজ’ নিয়েও কম চর্চা হয় না। চল্লিশোর্ধ নায়িকা নো-মেক লুকে ছবি দিতে ভয় পান না। নিজের বয়স লুকিয়ে রাখা তাঁর স্বভাব-বিরুদ্ধ। তবে শরীরের নানা অঙ্গ নিয়ে বারবার কদর্য আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তাঁর স্তনের আকার থেকে শুরু করে চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল— স্ক্রুটিনি থেকে ছাড় পায়নি কিছুই।
ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন স্বস্তিকাও। হাতকাটা ব্লাউজ পরে ছবি দিলে অনেক সময়ই বিদ্রুপের মুখে পড়েন নায়িকা। তাতে স্বস্তিকা থোড়াই কেয়ার করেন! সম্প্রতি এক বই লঞ্চের অনুষ্ঠানেও কালো রঙের স্লিভলেস পরে হাজির তিনি। একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে দিলেন কড়া বার্তা। স্বস্তিকা লেখেন, ‘আমার হাত মোটা তাতে কি? হাত কাটা বেলাউজ পরতে ইচ্ছে করলে পরবো! আর এটা বেলাউজ ও না, মেয়ের টপ’।
মেয়ে এখন তাঁর কাঁধ ছাপিয়ে গিয়েছে। তাই মেয়ের টপকেই ব্লাউজ হিসাবে পরে বই লঞ্চের অনুষ্ঠানের মধ্যমণি স্বস্তিকা। সঙ্গে আরও জানালেন, ‘আমরা মেয়েরা বড্ড ভয় পাই, লোকে কি বলবে সেটা হাতে ভাবনার একদম উপরে…. হাত আমাদের, ইচ্ছে আমাদের, বেলাউজ এর মাপ আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে।’
এত কম বয়সে বিয়ে, ভাঙা সংসারের যন্ত্রণা- সবটা সামলে সফল কেরিয়ার গড়েছেন স্বস্তিকা। সিরিয়ালের সঙ্গে অভিনয় সফর শুরু স্বস্তিকার। অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে হলেও ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নিতে কঠিন লড়াই লড়েছেন তিনি। কমার্শিয়াল এবং আর্ট হাউজ, দুই জঁর ছবিতেই দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন স্বস্তিকা। এখন টলিপাড়ার গণ্ডি ছাপিয়ে বলিউডের পরিচিত নাম তিনি।
ট্রোলিং প্রসঙ্গে একবার হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, 'বিশ্বব্যাপী এত পরিবর্তনের মাঝে আমরা আশা করেছিলাম মানুষের ধ্যান ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। হ্যাঁ,অবশ্যই হয়েছে তবে তা শুধুই নিম্নগামী বা নরকের পথে পরিবর্তন। আজ শুধু আমি কেন, যে কোনও মেয়ে যদি পুরুষের মতো মদের দোকানে যায় , শর্টস পরে , সিগারেট খায় সাথে সাথে প্রশ্ন উঠবে। কিন্তু চুপ করে থাকার তো কোনো মানে নেই , প্রতিবাদ করতে হবে। না করলে সোশ্যাল মিডিয়াতে থাকারও মানে নেই।