পিয়ায় ঘর বেঁধেছেন পরম! সেই চর্চিত বিয়ের এক সপ্তাহ পার। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা কিছুতেই থামছে না। অনুপমের প্রতি সমব্যাথী নেটপাড়ার একটা বড় অংশ। পাশাপাশি পরমব্রতকে ‘বউ চোর’ বলে বিদ্রুপ করছেন অনেকেই। এই ট্রোলিং নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি দুজনেই। তবে তাঁদের শুভাকাঙ্খী এবং শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষরা পাশে দাঁড়িয়েছেন নবদম্পতির। আরও পড়ুন-স্বস্তিকার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম, ইকার সাথে সহবাস! আজ পিয়ার গলায় মালা দেবেন পরমব্রত
পরমব্রতর বিয়ে প্রসঙ্গে উঠে এসেছে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকাদের কথাও। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরমব্রতর প্রেম একটা সময় ছিল সবার জানা। সম্পর্ক আড়ালেও রাখেননি তাঁরা। ১৫ বছর পুরোনো সেই সম্পর্ক নিয়ে কাটাছেঁড়া হওয়ায় আগেই ফুঁসে উঠেছিলেন স্বস্তিকা। ফের এই বিয়ে প্রসঙ্গে প্রতিবাদী স্বস্তিকা।
পরম-পিয়ার ‘শাদি কে সাইড এফেক্টস’ নিয়ে পরিচালক অয়ন চক্রবর্তী এক সংবাদপত্রে নিজের মতামত রাখেন। 'বন্ধু' অনুপমকে 'লেঙ্গি মেরে' তাঁর বউকে বিয় করে নিলেন পরমব্রত, সেই নিয়ে বাঙালির মাথাব্যাথার অন্ত নেই। ট্রোলিং প্রিয় জনগণকে ব্যঙ্গের ছলে মোক্ষম দাওয়াই দিয়েছেন ‘ষড়রিপু’ পরিচালক। সেই লেখা নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে এদিন শেয়ার করে নেন পরমব্রত-র প্রাক্তন প্রেমিকা। সঙ্গে লেখেন, ‘ঠাস করে যাদের গালে চড় মারতে ইচ্ছে করে কিন্তু মারা যায় না, তাদের জন্য মোক্ষম ওষুধ হল এইটা…’।
এর আগে সাম্প্রতিক ঘটনার ঘনঘটা নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী নন্দিনী। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আমার বিয়ের ১৬ বছর হয়ে গেল। নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হয় যে আবির অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয় হওয়ার অনেক আগে বিয়েটা করে ফেলেছি। জানি না বিয়ের পর মুহূর্ত থেকে অচেনা-অজানা মানুষদের থেকে ক্রমাগত ধেয়ে আসা নোংরা, অসভ্য অশালীন মন্তব্য শুনে আমার মানসিক অবস্থা কী হত! ভাববেন না কোনও এক তারকার সঙ্গীকেই এর সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারও রেহাই নেই। কাউকে বডি শেমিং করা হয়, তো কাউকে কথা শুনতে হয় আগের সম্পর্ক নিয়ে। কোনও না কোনও কারণে আপনাকে নোংরা কথা শুনতে হবেই। সব কিছু নিঁখুত-সুন্দর হলেও শুনতে হবে। কী অসাধারণ সমাজ আমাদের।’
নন্দিনীর পোস্টে কমেন্ট করেছিলেন স্বস্তিকা। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রাক্তন’ লেখেন, ‘১৫ বছর আগের প্রেমকেও টেনে আনলো। আমার আর অবাক লাগে না। তুই বেঁচে গেছিস নন্দু।’
পরমব্রতর ‘রঙিন’ জীবন নিয়ে একটা সময় কম চর্চা হয়নি। সিঙ্গল মাদার স্বস্তিকার সঙ্গে পরমের প্রেম একটা সময় টলিপাড়ার মুচমুচে গসিপের কেন্দ্র ছিল। তবে বেশিদিন টেকেনি সম্পর্ক। ২০১০ সাল নাগাদ ভাঙন ধরে এই প্রেমের কাহিনিতে।