সোহাগ জল শেষ হওয়ার পর বেশ কয়েকদিন ছোট পর্দা থেকে দূরে ছিলেন শ্বেতা ভট্টাচার্য। কোন গোপনে মন ভেসেছে দিয়ে ফের কামব্যাক করছেন তিনি। বিপরীতে রয়েছেন রণজয় বিষ্ণু। ১৮ ডিসেম্বর থেকে রাত সাড়ে আটটায় শুরু হবে শ্বেতা-রণজয়ের নতুন মেগা।
আপাতত জোর কদমে চলছে শ্যুটিং। ছোট পর্দার অভিনেতারা এমনিতেও একটানা ১৩-১৪ ঘণ্টা কাজ করে থাকেন। ফলে শ্যুট সামলে পরিবার-পরিজনকে সময় দেওয়া আর হয়ে ওঠে না। ফলে কাজের চাপে রুবেলকে বড্ড মিস করছেন।
রুবেলকে এখন দেখা যাচ্ছে নিম ফুলের মধু-তে। টিআরপি তালিকায় বেশ ভালো ফল করছে এই মেগা বর্তমানে। গত সপ্তাহেও ছিল টিআরপিতে বেঙ্গল টপার, জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে। মানে কাজ নিয়ে ব্যস্ত দুজনেই।
তবে কথাতেই তো আছে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। যা আরও একবার প্রমাণ করলেন শ্বেতা। রুবেলের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলেন মিষ্টি একটা পোস্ট। বিস্কিট রঙের কো-অর্ড সেট পরে নাচতে দেখা গেল শ্বেতাকে। ক্যাপশনে লিখলেন, ‘শুধু তোর জন্য রুবেল দাস। খুব মনে পড়ছে তোর কথা।’
আর প্রেমিকার এই মিষ্টি ডাকে সাড়া না দিয়ে পারা যায় নাকি! লিখলেন, ‘জিও জিও মাই বেবি। নাচতে ইচ্ছে করছে তো!’
প্রকাশ্যে প্রেমের এই আদান-প্রদান প্রায়ই চলে রুবেল আর শ্বেতার। যা বেশ পছন্দও করেন নেট-নাগরিকরা। শ্বেতা-রুবেলের ভক্তরা অপেক্ষা করে থাকেন, কখন তাঁরা একসঙ্গে ছবি দেবেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
শ্বেতা-রুবেলের আলাপ যমুনা ঢাকি-র সেটে। যদিও সেই সময় দুজনেই ছিলেন আলাদা-আলাদা সম্পর্কে। আর তা যথেষ্ট লম্বা ছিল দুজনেরই। কোনও কারণে সিরিয়াল চলাকালীনই প্রেম ভাঙে দুজনের। আর দুই ভাঙা মন আপন করে নেয় অকে-অপরকে। শ্বেতা অবশ্য জানিয়েছিলেন, তাঁদের প্রেমে অনুঘটকের কাজ করেছে তাঁদের পরিবার। সম্পর্কে আসা নিয়ে যখন শ্বেতা আর রুবেলের মনে উঠছে নানা প্রশ্ন, তখন দুই পরিবারই জানিয়ে দেন, বিয়েটা তাঁরা দিয়েই ছাড়বেন!
বিয়ের পরিকল্পনা যে চলছে তা জানিয়েছেন রুবেলও। তবে তারিখ ঠিক করে উঠতে পারেননি। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে রুবেল কিছুদিন আগেই জানান, ‘আপাতত কোনও পরিকল্পনা নেই, আর এখন সময়টা বিশেষ ভালোও যাচ্ছে না। আগামী বছরও হয়তো হবে না। ২০২৫-এ হলেও হতে পারে।’
বছরের মাঝামাঝি পা ভেঙে গিয়েছিল রুবেলের নিম ফুলের মধুর শ্যুট চলাকালীন। বাস থেকে লাফিয়ে পড়ার একটি দৃশ্যের শ্যুট করতে গিয়ে দু পায়েই চোট পান। সেই সময় দেড় মাস মতো শয্যাশায়ী ছিলেন। শ্যুটিং করা তো দূর, উঠতে পারেননি বিছানা থেকে। আর প্রেমিকের মনোবল যাতে ভেঙে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে কাজ হয়ে গেলে দেখা করতে যেতেন শ্বেতা। মায়ের মতোই আগলেছিলেন রুবেলকে।
এরপর পুজোয় ফের ডেঙ্গুর থামা বসে রুবেলের শরীরে। গোটা পুজো হাসপাতালেই কাটান অভিনেতা। আর শ্বেতাও ঠাকুরের মুখ দেখেননি এই চার দিনে। পড়ে থাকতেন হাসপাতালেই।
তাছাড়া অসুস্থ শ্বেতার মা-ও। মাসখানেক আগে সামাজিক মাধ্যমে মায়ের সঙ্গে ছবি দিয়ে শ্বেতা লিখেছিলেন, ‘মা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো মা। আমি যে আর পারছি না। তুমি ছাড়া আমার যে আর কেউ নেই।’