ব্যবসায়ীকে প্রতারণার অভিযোগ, খ্যতনামা প্রযোজক তথা অভিনেত্রী মহালক্ষ্মীর স্বামী রবিন্দর চন্দ্রশেখরণকে গ্রেফতার করল সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ১৫.৮৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে রবিন্দর চন্দ্রশেখরণের বিরুদ্ধে। প্রযোজক রবিন্দরের এই গ্রেফতারের ঘটনায় সকলেই হতবাক। প্রসঙ্গত রবিন্দর চন্দ্রশেখরণের নিজেই লিব্রা প্রোডাকশনের মালিক।
অভিযোগ, রবিন্দর একটি ব্যবসার লাভ দেখানোর জন্য জাল নথি তৈরি করেছিলেন। সেই ভুয়ো নথির মাধ্যমে বালাজি ফোর্ড নামে এক ব্যবসায়ীকে বোকা বানিয়েছিল। দাবি করা হচ্ছে বালাজি ফোর্ড নামে ওই ব্যবসায়ীকে কঠিন বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে রাজি করেছিলেন রবিন্দর, বলেছিলেন এটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। রবিন্দর ওই ব্যবসায়ীকে বিনিয়োগ বাড়াতে রাজি করিয়েছিলেন যাতে তাঁকে অংশীদার হিসাবেও ব্যবসায় নিয়ে আসতে পারেন। রবিন্দর ও বালাজির মধ্যে ২০২২-এর ১৭ সেপ্টেম্বর ১৫ কোটি টাকার পারস্পরিক চুক্তি হয়। রিপোর্ট অনুসারে, রবিন্দর তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হন। পুরো টাকাটাই তিনি ওই ব্যবসায়ীকে প্রতারণা করেছিলেন বলে অভিযোগ।
পুরো বিষয়টি জানতে পারার পর বালাজি ফোর্ড রবিন্দরের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু করেন এবং চেন্নাই সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা রুজু করে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চালায়। পুলিশ তদন্তের সময়, জানতে পারে রবিন্দর বালাজিকে বিনিয়োগ করানোর জন্য জাল নথি তৈরি করেছিলেন। পুলিশ আর্থিক অনিয়ম এবং ১৫.৮৩কোটি টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে।
রবিন্দর চন্দ্রশেখর তামিল ছবিতে তাঁর কাজের জন্য পরিচিত। গত বছর, তিনি তামিল টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মহালক্ষ্মীকে বিয়ে করে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন।তবে এই প্রথমবার নয় যে রবিন্দর এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। তিনি তাঁর স্ত্রী মহালক্ষ্মীর সঙ্গে ঘটা করে প্রথম বিবাহবার্ষিকীও উদযাপন করেছিলেন। যদিও গত মে মাসে দুজনের বিবাহ-বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়ে, তবে এই খবর ভুয়ো বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন রবিন্দর।