ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে 'দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২'। বহু প্রতীক্ষিত এই ওয়েব সিরিজে ওটিটি ডেবিউ করেছেন দক্ষিণী তারকা সামান্থা আক্কিনেনি। ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম 'রাজি'।‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’তে এক তামিল বিদ্রোহীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। যার সঙ্গে যোগ আছে পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর। এই ওয়েব সিরিজে মনোজ বাজপেয়ীর মতো দাপুটে অভিনেতা থাকা সত্ত্বেও নজর কেড়েছে সামান্থার অভিনয়। তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ছবি সমালোচক থেকে দর্শকের দল। তবে এর মাঝেও নেটিজেনদের একাংশ ছবিতে সামান্থা অভিনীত 'রাজি' চরিত্রের গায়ের অত্যাধিক চাপা রং নিয়ে মন্তব্য করতে ছাড়েননি। বিভিন্ন কারণ দর্শিয়ে আঙ্গুল তোলা হয়েছে ওয়েব সিরিজের পরিচালক জুটি রাজ এবং ডিকে-র দিকে।
এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন এই পরিচালক জুটি। এক সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন ওয়েব সিরিজে সামান্থার লুক,পোশাক ইত্যাদি সহ প্রতিটি ব্যাপার স্রেফ তাঁর অভিনীত চরিত্রের ধরণ অনুযায়ী রাখা হয়েছে। তাঁরা নিজেরাও যে ছবি পরিচালক হিসেবে যথেষ্ট দায়িত্ববান সেকথাও জোর গলায় উল্লেখ করেছেন রাজ এবং ডিকে। এখানেই না থেমে পরিষ্কার,কাটা কাটা ভাষায় জানিয়েছেন,' যে বিষয়ে নিয়ে এত কথা উঠছে, তেমন প্রশ্ন একমাত্র তখনই উঠতে পারে যখন করোও মনে বর্ণবৈষম্যের মতো ব্যাপার কাজ করে। যখন কেউ মনে করেন একমাত্র ফর্সা রঙের অধিকারী সুন্দর, চাপা রঙের নয়। তাই প্রথম কথা এই সিরিজে তেমন কোনও ব্যাপারই নেই। শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে কিছু বলার ব্যাপার নেই এখানে। আমরা সবাই মোটামুটি বাদামি রঙেরই। একটু শুধু উনিশ-বিশের তফাৎ এই যা!
দ্বিতীয়ত, এখানে কোনোরকমের জাত নির্ণয়ক ব্যাপার নেই। অর্থাৎ কোনও জাতিকে গায়ের রঙের মাধ্যমে বোঝানোর মতো কোনও বিষয়ই এই ওয়েব সিরিজে ব্যবহৃত হয়নি। আর তাছাড়া গল্প বলিয়ে ও ছবি পরিচালক হিসেবে আমরা যথেষ্ট দায়িত্বশীল বলেই বিশ্বাস করি।'
এখানেই না থেমে তাঁরা আরও বলেছেন যে 'দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২'-এ সামান্থা অভিনীত 'রাজি' কোরিত্রটি দেখলেই বোঝা যাবে কতটা শক্তপোক্ত সে। বড় বড় চেহারার শত্রুদের সঙ্গে তাঁকে পাল্লা দিতে হয়। কঠিন ট্রেনিং পেয়েই বড় হয়েছে সে। একজন যোদ্ধার জীবন যাপন করে সে। তাই নিজের সৌন্দর্য্যের প্রতি যত্ন নেওয়ার তাঁর সময় কোথায়?' আর তাছাড়া হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে যদি কেউ থাকে এবং এরকম কঠোর ট্রেনিংয়ের মধ্যে দিয়ে যায় তাহলে তাঁর মুখ লাল হতে বাধ্য, সহজ যুক্তি পরিচালকদের। এই চরিত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢোকার জন্য সামান্থা নিজেকে যেভাবে তৈরী করেছেন তা মুগ্ধ করেছে এই দুই পরিচালককে। সে জিম সেশন থেকে শুরু করে আর্মি ট্রেনিং নেওয়া হোক কিংবা নির্দিষ্ট একটি তামিল উচ্চারণের বাচনভঙ্গিতে কথা বলা শেখা, পুরোটাই সামলেছেন সামান্থা।