চলছে 'দাদাগিরি', চলতি সিজনে 'দাদাগিরি'র মঞ্চে উঠে আসছে একের পর এক চমক। আর এই অনুষ্ঠানেই এবার হাজির 'রাস্তার মাস্টার'। ভাবছেন তো, কেমন এই রাস্তার মাস্টার?
হ্যাঁ, বর্ধমানের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক দীপনায়ারণ নায়েক। ইনিই হলেন ‘রাস্তার মাস্টার’। তিনি 'দাদা' সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে জানান, তিনি ২০১০ থেকে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। যিনি কিনা পশ্চিম বর্ধমানের বহু দুঃস্থ পরিবারে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছেন। বইখাতা, স্লেট পেনসিল প্রত্যেককে কিনে দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাহলে উপায়? সেই ভাবনা থেকেই রাস্তায় বিভিন্ন বাড়ির দেওয়ালে ব্ল্যাকবোর্ড তৈরি করে বহু খুদে পড়ুয়া এবং প্রাপ্তবয়স্কদের পড়ানো শুরু করেন দীপনায়ারণ নায়েক। আর সেখান থেকেই তাঁর নাম হয় 'রাস্তার মাস্টার'।
'there is a will there's a way'-অর্থাৎ ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। একটু ট্য়াগলাইনকেই একটু বদলে নিজের মতো করে নিয়েছেন দীপনারায়ণ নায়েক। তাঁর নতুন ট্যাগলাইন হল, ‘Where There is a walk there is a way’। দীপনারায়ণ নায়েক বলেন, ‘অনেকেই ভাবেন দেওয়াল থাকলে রাস্তা বন্ধ, সকলে এমনটাই ভাবেন, তবে এখানে আমি সেটাই বদলে দিয়েছি, দেওয়াল থাকলেও রাস্তা করে নেওয়া যায়।’ 'রাস্তার মাস্টার' দীপনারায়ণ নায়েকের এমন ট্যাগলাইনে মুগ্ধ হন খোদ ‘দাদা’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন-দ্বিতীয়বার মা হলেন শুভশ্রী, ‘রাজ’ পরিবারে সুখবর, ছেলে হল না মেয়ে?
আরও পড়ুন-'ববি দেওল মূক নন, আর ও রণবীরের সৎ ভাইও নন', ভুল তথ্যতে চটলেন সন্দীপ
এখানে নিজের ভাবনা শেয়ার করে জানান, যাঁদের পরিবারে প্রথমবার শিক্ষার আলো ঢুকছে, তাঁদের বাবা-মায়ের পক্ষে সারাদিনের কাজের পর স্কুলে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্কুলকেই সেই সমস্ত শিশুদের মায়ের দুয়ারে পৌঁছে দিতে হবে। তাই তাঁদের বাড়ির দেওয়ালেই পড়াশোনার ব্যবস্থা করেন দীপনারায়ণ। যেকারণে তিনি ইউনিসেফের তরফে স্বীকৃতিও পেয়েছেন বলে জানান বর্ধমানের মাস্টারমশাই।
দীপনারায়ণ নায়েক জানান, তিনি বাড়ির দেওয়াল থেকে রাস্তাঘাট সর্বত্রই ক্লাসরুম বানিয়ে দিয়েছেন। যেখান ছোটছোট শিশু, তাঁদের বাবা-মা-দাদুদিদা সকলেই একসঙ্গে পড়াশোনা করেন। এমন উদ্যোগের কথা জেনে মুগ্ধ হয়ে যান 'দাদা' সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।