অনলাইনেই বেশ নামী চশমার ব্র্যান্ডের একটি চশমার অর্ডার দিয়েছিলেন পরিচালক সত্রাজিৎ সেন। তবে চশমার পাওয়ারে গন্ডগোল টের পাওয়াতে তা ফেরত দিতে গেছিলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এই পরিচালক-প্রযোজক। এরপরেই শুরু হয় গন্ডগোল। ডেলিভারি বয়কে ফোনে সমস্যাটি বুঝিয়ে দিতে যাওয়ার সময় ও প্রান্ত থেকে সে পরিচালককে একপ্রকার নির্দেশ দেয় হিন্দিতে কথা বলার! খোদ কলকাতায় বাংলায় কথা বলার জন্য যে তাঁকে এরকমটা শুনতে হবে, তা কল্পনার বাইরে ছিল সত্রাজিতের। গোটা ঘটনায় যারপরনাই হতবাক ও ক্ষুব্ধ তিনি।
ডেলিভারি বয়ের সেই আচরণে এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত 'বাকিটা ব্যক্তিগত' ছবির প্রযোজক যে গোটা ঘটনার কথা একাধিক টুইটের মাধ্যমে তিনি শেয়ার করেছেন। ওই নামী চশমার ব্র্যান্ডকেও এই টুইট ট্যাগ করেছেন তিনি। আসলে ঠিক হয়েছিল কী? সত্রাজিতের কোথায় জানা গেল অঙ্কুর নামের ওই ডেলিভারি বয়কে বাংলাতে নিজের সমস্যাটা বুঝিয়ে দেওয়ার সময়ই নাকি সে ফোনের ওপর থেকে বলে ওঠে 'এটা বাংলাদেশ নয়, ইন্ডিয়া, আপনার হিন্দি বলতে পারা উচিত।' ডেলিভার বয়ের এই উপদেশ পেয়ে বেজায় অবাক হন সত্রাজিৎ। সঙ্গে ক্ষুব্ধও! তৎক্ষণাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনাটির কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
পরিচালকের টুইট চোখে পড়তেই তাঁর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মত অভিনয় জগতের নামী ব্যক্তিত্বরা। তালিকায় রয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়ও।
তাঁরাও যে গোটা ব্যাপারটায় অত্যন্ত বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ তা তাঁদের টুইটারে দেওয়া জবাবের থেকেই স্পষ্ট। পরিচালকের টুইটের উত্তরে সৃৃজিত লেখেন, 'কাঁচা বাংলায় উত্তর দিয়েছিস তো সত্রাজিৎ?'
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় যেমন কোনও লুকোছাপার মধ্যে না গিয়ে সোজাসুজি কমেন্ট করেছেন, 'খিস্তিটা কাঁচা বাংলায় হতে হবে তবে আনন্দ!'
আবির ক্ষুব্ধ হলেও অবশ্য তার বহিঃপ্রকাশ শান্তভাবেই করেছেন। জবাব দিয়েছেন 'ফেলুদা'-র সেই বিখ্যাত সংলাপের ভঙ্গিতে, 'আপনি হিন্দি চালিয়ে যেতে পারেন বেশ লাগছে।' পাশে লিখেছেন ঘটনার জল কতদূর গড়াল তাঁকে যেন সেই বিষয়ে আপডেট করতে থাকেন সত্রাজিৎ।
তবে শুধু তারকারাই নয়, সত্রাজিতের এই টুইটের সুবাদে গোটা ঘটনাটি জানতে পেরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরাও। পরিচালককে সমর্থন করে তাঁর টুইটটিও রিটুইট করে চলেছে নেট নাগরিকরা।