একজন অভিনেতা থেকে তিনি এখন পুরোপুরি রাজনীতিবিদ। তৃণমূল কংগ্রেসই এখন তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সেটাই বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছেন সায়নী। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে আপাতত নিজেকে দূরেই রেখেছেন। একসময় যে সামাজিক মাধ্যমে নিজের নানা ফোটোশ্যুটের ছবি শেয়ার করত, এখন তাঁকে দেখা যায় শাড়িতে মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকতে। তাঁর পাখির চোখ এখন সামনের লোকসভা ভোট। দিদির জয় দেশজুড়ে করার লক্ষ্যেই যেন এগোচ্ছেন সকলে।
বিজেপির সমালোচনা তিনি এর আগেও করেছেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে চাঁচাছোলা পোস্ট করা থেকেও তাঁকে আটকানো যায়নি। তবে এবার মোদীকে সরাসরি Time Up বলে দিলেন। ২০১৪ সাল ও ২০১৯ সালে পরপর দু'বার দেশের ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। আর দু'বারই দেশ বদলের কথা শোনা গিয়েছে দলীয় নেতা-নেত্রীদের মুখে। 'আচ্ছে দিন', 'নয়ি ভারত'-এর মতো কথায় মন জয় করেছেন নাগরিকদের। এবার সেই প্রসঙ্গেই হুশিয়ারি দিলেন সায়নী। টুইটারে লিখলেন, ‘জোর করে নতুন ভারত তৈরির মোদির ইচ্ছে গ্রেট ইন্ডিয়ান ট্রাজেডিতে পরিণত হচ্ছে। হতাশ ভারতীয়রা অবশেষে বুঝতে পারছেন একজন জাদুকর ও প্রবঞ্চকের মধ্যে পার্থক্য কোথায়।’ সঙ্গে হ্যাশট্যাগে জুড়ে দিয়েছেন #TimesUpModi।
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি জয়ের পরিকল্পনায় রয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল থেকে ভোটে লড়েছিলেন সায়নী। তবে বিজেপির অগ্নিমিত্রার কাছে হারার পরেও একচুলও কমেনি তাঁর লড়াই চালানো। বরং, নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর আরও জোরে কোমর বেঁধেছেন। উত্তরপ্রদেশে নারী সুরক্ষা, গোটা দেশে পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়েও সায়নী একাধিকবার গেরুয়া বাহিনীকে বিদ্ধ করেছেন। সাক্ষাৎকারে বহুবার জানিয়েছেন, তাঁর প্রথম প্রায়োরিটি এখন লোকসভা ভোট। আপাতত দু' বছর নিজেকে তাই দূরেই রাখবেন অভিনয় থেকে।