প্রথমার্ধে জেসন কামিন্সের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মুম্বইয়ের হয়ে সমতা ফেরান পেরেরা দিয়াজ। দ্বিতীয় গোল করেন বিপিন সিং। ইনজুরি টাইমে তৃতীয় গোল জ্যাকুবের। প্রসঙ্গত, ৮১ মিনিটে বিপিনের গোলেই বাগান ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল। ২০২০-২০২১ আইএসএল ফাইনালে বিপিনের গোলেই হেরেছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এদিনও পরিবর্তে নেমে মোক্ষম সময়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন বিপিন। জ্যাকুব বাগানের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতেছেন।
নিঃসন্দেহে এদিন যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে মুম্বই সিটি এফসি। শুরু থেকে তারাই দাপট দেখিয়েছিল। বাগানের মধ্যে একটা গা-ছাড়া ভাব ছিল। রক্ষণ তো পুরো ফ্লপ। জনি কাউকোকে বোতল বন্দি করে, বাগানের আক্রমণের সাপ্লাই লাইনটাই কেটে দিয়েছিল মুম্বই। যে কারণে নিষ্প্রভ হয়ে পড়েন দিমিত্রি পেত্রাতোস, লিস্টন কোলাসোরাও। পুরো পরিকল্পনামাফিক ফুটবল খেলে বাগানকে এদিন হারায় মুম্বই। সেখানে সবুজ-মেরুন বাহিনী এদিন ম্য়াড়ম্যাড়ে পারফরম্যান্স করে। একদিকে রক্ষণের ভুল, অন্যদিকে আক্রমণের ঝাঁজের অভাব। নিটফল, ফের তিন বছর আগের স্মৃতি ফিরল। আরও একটি আইএসএল ফাইনালে মুম্বইয়ের কাছে হেরে কাপ হাতছাড়া হল মোহনবাগানের।
খেলা শেষ
খেলা শেষ হয়ে গেল। সেই সঙ্গে ত্রিমুকুট জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গেল বাগানের। মূলত রক্ষণের ভুলেই মোহনবাগান এদিন ১-৩ হেরে বসে থাকে। প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও, হেরে মাঠ ছাড়েন পেত্রাতোসরা। সেই সঙ্গে যুবভারতীতেই মোহনবাগানকে হারিয়ে শিল্ড হাতছাড়া হওয়ার বদলা পূরণ করে মুম্বই সিটিএফসি।
গোওওওললল… ৩-১ করে ফেলল মুম্বই
৯০+৭- মোহনবাগানের চাপ বাড়িয়ে ৩-১ করে ফেললেন মুম্বই সিটি এফসি-র জ্যাকুব। ফের মোহনবাগানের রক্ষণের দোষেই তৃতীয় গোলটিও তারা হজম করল। জ্যাকুব প্রথমে বিক্রমের কাছে বল বাড়ান। বিক্রম আবার বক্সের ভিতর থাকা বিপিনকে পাস দেন। তবে শুভাশিসের কাছে বিপিন বাধা পেলেও, বাগান ডিফেন্ডার বলটি ক্লিয়ার করতে পারেননি। জ্যাকুব সেই বলটি ধরেই জালে জড়ান।
নয় মিনিট ইনজুরি টাইম
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে ১-২ পিছিয়ে রয়েছে মোহনবাগান। রক্ষণের ভুলেই মূলত গোল হজম করতে হয়েছে তাদের। নয় মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে। দেখার, তারা এই সময়ে গোলশোধ করতে পারে কিনা!
সুযোগ নষ্ট বাগানের
৮৬ মিনিট- মনবীর ডান দিক থেকে দূরের পোস্টে একটি ক্রস বাড়ান। সেখান কামিন্স ছিলেন আনমার্কড অবস্থায়। তবে, তাঁর নেওয়া ভলি লক্ষ্যের বাইরে বেড়িয়ে যায়।
গোওওওললল… ২-১ করে ফেলল মুম্বই
৮১ মিনিট- মোহনবাগানের জঘন্য রক্ষণ। খারাপ ডিফেন্সের জন্যই দু'টি গোল হজম করতে হল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে। দ্বিতীয় গোলটিও হল ডিফেন্ডারদের গা-ছাড়া মনোভাবে। প্রথমে ছাংতে একটি শট নেয়, যা ব্লক হয়ে যায়। বলটি জাকুবের কাছে যায়, যেটি গোলের সামনে বিপিনের পায়ে পড়ে। পরিবর্তে নামা বিপিনি প্রথমে মিস করলেও, ফিরতি বল ধরে, তা জালে জড়ান। বাগানের ডিফেন্ডাররা যেন দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। পুরো ঘটনাটি ঘটে গোলের সামনে। বাগানের ডিফেন্ডাররা ততক্ষণে বলটি ক্লিয়ার করে উঠতে পারল না। ভুল করলেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথও। তিনিও বলটি ধরার চেষ্টা করেননি। ২-১ এগিয়ে গেল মুম্বই।
হলুদ কার্ড জয়েশকে
৭০ মিনিট- পিছন থেকে জনি কাউকোকে ট্যাকেল করার জন্য জয়েশ রানেকে হলুদ কার্ড দেখালেন রেফারি।
হলুদ কার্ড বিক্রমকে
৬৬ মিনিট- হলুদ কার্ড দেখলেন বিক্রম। বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে না পেরে বক্সের ভিতর ইচ্ছাকৃত পড়ে যাওয়ার পর ফাউলের জন্য অভিনয় করায়, বিক্রমকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে।
দু'টি সুযোগ নষ্ট মুম্বইয়ের
৬১ মিনিট- জয়েশকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান ছাংতে। জয়েশ বক্সের মাঝেই ছিলেন। কিন্তু তিনি ঠিক করে ফিনিশ করতে পারেননি। লক্ষ্যের অনেক বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। এর কিছু সময় পরে ফাইনাল থার্ড থেকে বক্সের ভিতর পাস বাড়ান রাহুল ভেকেকে। কিন্তু ভেকেও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
গোওওওললল… সমতা ফেরালেন মুম্বইয়ের দিয়াজ
৫৩ মিনিট- মুম্বই সিটি এফসি সমতা ফিরিয়ে দিল। মনবীরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বল জালে জড়ান পেরেরা দিয়াজ। নোগুয়েরার কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন দিয়াজ। তিনি বক্সের মধ্যেই ছিলেন। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে আর কোনও ভুল করেননি দিয়াজ। মনবীর সামনে থাকলেও বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে বলটি বের করার চেষ্টা করেছিলেন হেক্টর। তিনিও পারেননি। ১-১ করে ফেলল মুম্বই।facebookwhatsapp
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গেল। মুম্বই ০-১ পিছিয়ে রয়েছে ঠিকই, তবে তারা সমতা ফেরাতে নিঃসন্দেহে মরিয়া থাকবে। বিশেষ করে যে ভাবে তারা প্রথমার্ধে খেলেছে, তাতে আরও বেশি করে দ্বিতীয়ার্ধে হয়তো তারা দাপট দেখাবে। তবে মোহনবাগানকে কিন্তু গোলের ব্যবধান বিরতির পরেই বাড়াতে হবে। তা না হলে এক গোলের ব্যবধানে মুম্বইকে আটকে রাখা যাবে না। কিন্তু বাগানের মধ্যে সেই ছন্দটাই এদিন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, যতই তারা এগিয়ে থাকুক।
বিরতিতে ১-০ এগিয়ে মোহনবাগান
মোহনবাগান প্রথমার্ধের পুরোটা সময় ব্যাক-ফুটে ছিল। কিন্তু মেরিনার্সরা কাজের কাজটা করে দিয়েছে। সেখানে মুম্বই একাধিক সুযোগ নষ্ট করেছে। বল কিছুতেই জালে জড়াতে পারেনি। মুম্বই প্রথমমার্ধের বেশির ভাগ সময়টাই বলের দখল রেখেছিল। ৬৬ শতাংশ বল পজেশন ছিল মুম্বইয়ের। এবং আরও শট নিয়েছে মোহনবাগানের চেয়ে অনেক বেশি। গোল লক্ষ্য করে তারা ১০টি শট নিয়েছে। তবে গোল হয়নি। সেখানে বাগান সুযোগ পেয়েই, তা কাজে লাগিয়েছে।
চার মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধের নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ। জেসন কামিন্সের গোলে ১-০ এগিয়ে রয়েছে মোহনবাগান। রেফারি চার মিনিট ইনজুরি টাইম দিয়েছেন।
গোওওওওললল… ১-০ করে ফেললেন কামিন্স
৪৪ মিনিট- পেত্রাতোস দূর থেকে একটি গোলমুখী শট নেন, যেটা ফুর্বা বাঁচিয়ে দেন। কিন্তু ফিরতি বল ধরে কামিন্স সরাসরি তা জালে জড়ান। কিপারের উপর দিয়ে বল গোলে ঢুকে যায়। সেই সঙ্গে ১-০ এগিয়ে গেল মোহনবাগান।
বাগানের প্রথম পজিটিভ আক্রমণ
৪২ মিনিট- মোহনবাগান অবশেষে প্রকৃত অর্থে একটি সুযোগ পেল। অনিরুদ্ধ থাপা বলটি উপরে নিয়ে ওঠার সময়েই লিস্টনকে পাস বাড়ান। ভালো একটি শট নিয়েছিলেন লিস্টন। কিন্তু মুম্বইয়ের কিপার সেই বল ধরে ফেলেন। এটাই এই ম্যাচে বাগানের প্রথম পজিটিভ আক্রমণ।
পোস্টে লাগল বল, ফের সুযোগ নষ্ট মুম্বইয়ের
৩৯ মিনিট- মুম্বই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছে। গোলের একাধিক সুযোগ তৈরি করছে তারা। কিন্তু সফল হচ্ছে না। ফের ছাংতের শট পোস্টে লাগে। কপাল খারাপ মুম্বইয়ের। বিক্রম বাঁ-দিকের উইং ধরে আক্রমণে ওঠে। এবং বক্সের ভিতরে তিনি ছাংতেকে একটি পাস বাড়ান। তবে ছাংতের শট শুভাশিসের গায়ে লাগে। সেখান থেকে বল পোস্টে গিয়ে লাগে। অল্পের জন্য ফের সুযোগ নষ্ট মুম্বইয়ের।
ছাংতের শট ক্রসবারে লাগল
৩১ মিনিট- মুম্বই সিটি এফসি বক্সের প্রান্তে একটি ফ্রি-কিক পায়। খুব ভালো জায়গায় ফ্রি-কিক পায় তারা। ছাংতে শট নেয়। শটটি ভালো ছিল। কিন্তু অল্পের জন্য সেটি মিস হয়ে যায়। ক্রসবারে গিয়ে লাগে শট।
সুযোগ নষ্ট মুম্বইয়ের
২৯ মিনিট- দিয়াজকে মাপা পাস বাড়ান রাহুল ভেকে। দিয়াজ আবার ছাংতেকে প্রথম টাচে পাস খেলেন। ডান দিক থেকে গোল লক্ষ্য করে শট নেন ছাংতে। কিন্তু সেটা ফিনিশিং টার্গেটের বাইরে চলে যায়।
মুম্বইয়ের ফ্রি-কিক বিপজ্জনক হতে পারত বাগানের জন্য
২৫ মিনিট- মুম্বইয়ের খুব ভালো জায়গায় ফ্রি-কিক পায়। বিপজ্জনক হতে পারত মোহনবাগানের জন্য। তবে ছাংতের দুর্বল শটে সুযোগ হাছাড়া হয় মুম্বইয়ের। মোহনবাগান বল পেয়ে যায়।
গোলের দেখা নেই
২০ মিনিট- ম্য়াচে সেই ভাবে পজিটভ আক্রমণ কোনও দলই তৈরি করতে পারেনি। তবে মুম্বই বল পজেশনে এগিয়ে রয়েছে। তবে তাদের আক্রমণও এখনও পর্যন্ত কার্য়কর হয়নি। ২০ মিনিট হয়ে গেলেও, গোলের দেখা নেই।
মুম্বইয়ের আক্রমণ
১৫ মিনিট- দিয়াজের জন্য জয়েশ রানা ক্রস বাড়ান। মূলত উইংস দিয়ে আক্রমণে উঠছে মুম্বই। তবে ইউস্তে বল ক্লিয়ার করে দেন। মুম্বই কর্নার পায়। মেহতাবকে লক্ষ্য করে ছাংতে বল বাড়ায়, তবে সেটি পোস্টের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
বাগানের আক্রমণে ওঠার চেষ্টা
১০ মিনিট- মোহনবাগান কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠে। মনবীর দুরন্ত পাস বাড়ান লিস্টনকে। কিন্তু বলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি লিস্টন। বলের দখল হারান তিনি।
খেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে মুম্বই
৫ মিনিট- মুম্বই সিটি এফসি খেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। মাঝমাঠ মজবুত করে, আক্রমণে ওঠার লক্ষ্য মুম্বইয়ের। তবে মোহনবাগান ম্যান-মার্কিং করে রেখেছে। নড়তে দিচ্ছে না মুম্বইকে।
খেলা শুরু
মোহনবাগান-মুম্বই সিটি এফসি-র মধ্যে খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। জিতবে কারা? টানটান উত্তেজনা। দুই দলের কাছেই বদলার ম্যাচ। আজ কাদের প্রতিশোধের আগুন নেভে, সেটাই দেখার!
মোহনবাগানের একাদশ
মুম্বইয়ের একাদশ
বাংলার ফুটবল-প্রেমীদের চোখ আজ যুবভারতীতে
মুম্বইও জ্বলছে বদলার আগুনে
মোহনবাগান এসজি-র বিরুদ্ধে আইএসএলের লিগের শেষ ম্যাচ হেরে শিল্ড জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মুম্বই সিটি এফসি-র। সেই ধাক্কা কাটিয়ে সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ এফসি গোয়াকে দুই লেগেই হারিয়ে, ফাইনালে ওঠে মুম্বই। ফাইনালে ফের তারা মুখোমুখি মোহনবাগানের। আবার সেই যুবভারতীতেই ফাইনাল খেলতে হবে মুম্বইকে। এই মাঠেই তো লিগ শিল্ড হাতছাড়া করেছিল আর সাগরের পারের টিম। তবে এবার ফাইনালে বাগানকে হারিয়ে লিগ শিল্ডের বদলা নিতে মরিয়া মুম্বই সিটি এফসি।
প্রতিশোধের ষোলকলা পূরণ করতে মরিয়া মোহনবাগান
২০২০-২১ মরশুমে গোয়ার মারগাওতে অনুষ্ঠিত আইএসএলের ফাইনালের হারটা এখনও মোচড় দিয়ে ওঠে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মনে। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে মুম্বই সিটি এফসি-র বিপিন সিং-এর করা গোলে হারতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছিল। সেই ক্ষত এখনও দগদগে। আর তাতে প্রলেপ লাগানোর বড় সুযোগ থাকছে শনিবাসরীয় যুবভারতী। শুধু কী তাই, ২০২০-২১ মরশুমে বাগানের সমান পয়েন্ট নিয়ে, শুধুমাত্র গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকার সুবাদে শিল্ড জিতেছিল মুম্বই। কপাল চাপড়েছিল সবুজ-মেরুন বাহিনী। এই মরশুমে ইতিমধ্যে লিগের শেষ ম্যাচে মুম্বইকে হারিয়ে শিল্ড জেতা হয়ে গিয়েছে বাগানের। এবার কাপ জিতে, প্রতিশোধের ষোলকলা পূরণ করে ফেলতে চান শুভাশিস বসুরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।