Tollywood Singer: ‘আমার তোমাকে দরকার!’, মা প্রয়াত, ছোটবেলার ছবি দিলেন গায়িকা, বলুন তো কে?

রঙ্গবতী, টাপা টিনি, ও জীবন তোমার সঙ্গে-র মতো একাধিক হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি টলিউডকে। তবে যেই মায়ের অনুপ্রেরণায় গান শুরু করা, সেই মা-ই দেখে যেতে পারেননি মেয়ের অভাবনীয় সাফল্য। মায়ের জন্য হঠাৎই মন কাঁদল এই বাঙালি নায়িকার।

মায়ের সঙ্গে ছোটবেলার ছবি দিলেন গায়িকা, পারলেন চিনতে?

বয়স যতই বাড়ুক, মা-কে ছাড়া একটা দিনও যেন কাটে না কারও। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে মায়ের খোঁজ না করলে, হজম হয় না পেটের ভাত। মায়ের বকাঝকা, মায়ের কাছে আদর খাওয়ার মতো সুখ হয়তো কিছুতেই নেই। আর মা ছাড়া থাকার মধ্যে রয়েছে এক অগাধ শূন্যতা। যা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। তার কিছুটাই ধরা পড়ল টলিউডের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই গায়িকার পোস্টে। মঙ্গলবার সকাল সকাল যা চোখ ভিজিয়ে দিল নেটিজেনদের।

নিজের আর মায়ের সাদাকালো একটা ছবি শেয়ার করলেন গায়িকা। গালে ঠেকানো গাল। দুজনের মুখেই একগাল হাসি। পোস্টের ক্যাপশনে লিখলেন, ‘আমার তোমাকে দরকার মা’!

রঙ্গবতী, টাপা টিনি, ও জীবন তোমার সঙ্গে-র মতো একাধিক হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি টলিউডকে। প্রাক্তন সিনেমার জন্য পান জাতীয় পুরস্কার। ঠিকই ধরেছেন, এই পোস্ট করেছেন ইমন চক্রবর্তী। খুব ছোট বয়সেই মা-কে হারান তিনি। ইমনের এই পোস্টে কমেন্ট করে ভালোবাসা জানালেন তাঁর প্রাণ-প্রিয় বন্ধু মানালী দে। অভিনেত্রী মানালীও হারিয়েছেন নিজের মা-কে ছোটবেলায়। তাই হয়তো বন্ধুর মনের কষ্টটা বোঝেনও।

এর আগেও মায়ের সঙ্গে তোলা এই ছবিটা সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছিলেন ইমন। সেইসময় লিখেছিলেন, ‘‘বাবাই, বড় মানুষ আর ভালো মানুষে বিস্তর ফারাক’... তুমি বলতে মা... আমিতো শুধু ‘বড়’ মানুষই দেখি মা... ‘ভালো মানুষ’ কই ?’

ইমন তাঁর মাকে হারিয়েছেন বেশ কয়েকবছর আগে। এখনও প্রত্যেক বছর ১৭ অক্টোবর মায়ের জন্মদিনে কিংবা ২৬ ফেব্রুয়ারি মায়ের মৃত্যু দিনে গায়িকাকে মায়ের কথা স্মরণ করে পোস্ট করতে দেখা যায়। একাধিক সাক্ষাৎকারে ইমন জানিয়েছেন, তাঁর গান গাওয়ার অনুপ্রেরণা ছিলেন তাঁর মা-ই। এমনকী মায়ের মৃত্যুর পর অবসাদে ডুবে যাওয়ার কথাও উঠে এসেছে ইমনের কথায় একাধিকবার। 

মা চলে যাওয়ার পর পরম আগলে মেয়েকে বড় করেছেন ইমনের বাবা। চলতি বছরে তো তিনি মেয়ে আর জামাই নীলাঞ্জনকে ঘটা করে জামাইষষ্ঠীও খাওয়ান। সঙ্গে পালন করেন সব আচার-অনুষ্ঠান। সেই সময় গায়িকা লেখেন, ‘বাবাই আমার মা-বাবা সব…’