মহালয়া পড়া মানেই আকাশে-বাতাসে পুজোর সুর। মন ভালো করে দেওয়া একটা গন্ধ। বিকেল হলেই বাতাসে বেশ একটা ঠান্ডার আমেজ। পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখা, পুজো মণ্ডপে বসে আড্ডা দেওয়া, জমিয়ে পেটপুজো। সে না হয়, আমার-আপনার পুজো এভাবে কাটে। তারকাদের পুজো রুটিন কেমন থাকে?
পুজোর প্ল্যান ভাগ করে নিলেন টিভির জনপ্রিয় জুটি নীল ভট্টাচার্য আর তৃণা সাহা। তৃণা অবশ্য আজকাল ছোট পর্দার সঙ্গে জমিয়ে কাজ করছেন সিনেমা-সিরিজে। নীলও ব্যস্ত রয়েছেন তাঁর ধারাবাহিক বাংলা মিডিয়াম নিয়ে। সঙ্গে পুজোর উদ্বোধন বা পুজোর নানা অনুষ্ঠান তো রয়েইছে।
কী করবেন এবারে পুজোর পাঁচ দিনে? টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে তৃণা জানালেন, পুজো পরিক্রমায় যাওয়ার কথা রয়েছে। একটু রাতের দিকে কোনও এক মণ্ডপে বন্ধুদের সঙ্গে বসে আড্ডাও জমাতে পারেন। আসলে গোটা বছরটা কাজের এত চাপ যায় যে, পুজোর কটা দিন মনে যা চায় তাই করেন। যেমন কোনদিন কোন পোশাক পরবেন তা নিয়েও আগে থেকে ঠিক করে রাখেননি। তবে পুজোর পোশাক এমন বাছবেন যাতে স্টাইলের সঙ্গে তা আরামপ্রদও হয়। আরও পড়ুন: ‘বাংলা সিনেমার দুই ধ্রুবতারা!’ দশম অবতারের প্রিমিয়ারে যিশু-অনির্বাণের ভাইচারা
আর খাওয়াদাওয়া? পুজোতেও কি ছিপছিপে চেহারা ধরে রাখতে ডায়েট করেন নাকি? তৃণা জানালেন, পুজো মানেই তাঁর কাছে সেটা চিট ডে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কথা শুনলেই হাসি পায়। আর কোন পদ সবচেয়ে বেশি পছন্দ জানেন? মটন। তা সে যেভাবে তৈরি করা হোক না কেন। দুপুরে-রাতে যে কোনও সময়তেই চলতে পারে। তৃণা জানালেন, তিনি আর নীল দুজনেই মটন-প্রেমী। শুধু তাই নয়, নাম শুনলেই আসে জিভে জল।
নীল-তৃণাকে একসঙ্গে দেখতে বড়ই পছন্দ করে তাঁদের অনুরাগীরা। ভালোবেসে নাম দিয়েছে তৃনীল। তবে পর্দায় এতদিন দেখা যায়নি একসঙ্গে। যাই হোক, খুব জলদিই আসবে সেই সুযোগ। সিনেমার নাম 'তিলোত্তমা'। এই ছবি দিয়েই বড় পর্দায় হাতেখড়ি হবে নীলের। 'তিলোত্তমা' ছবিটি পরিচালনা করছেন সৌম্যজিৎ আদক। এর আগে সৌরভ দাস ও দর্শনা বণিক জুটির 'হৃদয়পুর' ছবিটির পরিচালনা করেছেন সৌম্যজিৎ। তৃণাকে এই সিনেমায় দেখা যাবে সিঙ্গল মাদারের চরিত্রে। আর নীল হলে একটি মিউজিক ব্র্যান্ডের গায়ক। যদিও ছবিতে মাত্র একটি দৃশ্যেই একসঙ্গে আসবেন তাঁরা। ভালোবাসার মানুষদের কাছে, সেটাই বা কম কি!