সারা বছর তিনি বেজায় ব্যস্ত। শ্যুটিং ফ্লোরের 'লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন'-এর হাঁকডাকের মাঝেই দিন কেটে যায় তাঁর। এ হেন তৃণা সাহার জীবনের ঠিক কতটা জুড়ে শারদোৎসব? দুর্গাপুজোর চারটে দিন কী ভাবে কাটান পর্দার গুনগুন?
পুজোর দিনগুলি তৃণার কাছের মানুষদের জন্য বরাদ্দ। ব্যস্ততা ভুলে আড্ডার আসর বসান ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তবে নামের পাশে 'তারকা' তকমা জুড়ে যাওয়ার পর কিছুটা বদলেছে সেই ছবি। তৃণা বললেন, 'পুজোর দিনগুলোতে শ্যুট করব না। তবে বেশ কিছু স্টেজ শো আছে। তার জন্য একটু ব্যস্ত থাকব।'
আর বাকি সময়টা? হেসে তৃণার উত্তর, 'চুটিয়ে আড্ডা দেব! নীল (ভট্টাচার্য) আর আমার দুই পরিবারকে সময় দেব। সারা বছর আমরা ব্যস্ত থাকি। বন্ধুদের সঙ্গে কথা মানে শুধু ফোন আর টেক্সট। পুজোর সময় জমিয়ে আড্ডা দেব। হাউজপার্টি হবে।'
সারা বছর কঠিন ডায়েট মেনে চলেন তৃণা। মেদহীন ঝরঝরে চেহারা বজায় রাখতে অনেক পছন্দের খাবারই পাতে পড়ে না! তবে পুজোতে এ সবের ধার ধারেন না 'গুনগুন'! তাঁর কথায়, 'পুজোয় আবার ডায়েট কীসের! আমি তো এ সব কিছুই মানি না। মন ভরে পছন্দের সব খাবার খাই।
(আরও পড়ুন: শেষবারের মতো খড়কুটো পরিবারের স্মৃতি শেয়ার করলেন ‘গুনগুন’ তৃণা, চোখ ভিজল সকলের)
অগস্ট মাসে শেষ হয়েছে 'খড়কুটো'। আপাতত তৃণার হাতে একগুচ্ছ কাজ। দিনের বেশির ভাগ সময় কাটছে শ্যুটিং ফ্লোরেই। তবে পুজোর কেনাকাটা? তিনি বললেন, 'এখনও কিচ্ছু কিনতে পারিনি। এক দিন একটু সময় পেলেই বেরিয়ে পড়ব। আসলে আমি অনলাইনে জামাকাপড় কিনতে পারি না। বুঝতে পারি না পোশাকগুলো আমাকে মানাবে কি না! তাই নানা জায়গা ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করতেই বেশি সুবিধা হয়।'
(আরও পড়ুন: মরেও মরল না গুনগুন, ফিরে এল ‘খড়কুটো’ পরিবারে, শেষ দিনে বড় টুইস্ট)
যা বোঝা গেল, তৃণার পুজো মানেই আড্ডা, খাওয়াদাওয়া আর সাজগোজ। তাই তো? 'আরও একটা বিষয় আছে। অষ্টমীর সকাল। ওই দিনটার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করি। এ বারও নীলের সঙ্গে অঞ্জলি দেব', মৃদু হাসি খেলে গেল তৃণার গলায়।