ইন্ডাস্ট্রিতে এক যুগ পার। ছোটপর্দার চেনা মুখ তিনি। জনপ্রিয়ও বটে। অভিনয় করেছেন একগুচ্ছ ধারাবাহিকে। কিন্তু বিগত কয়েক মাসে তাঁর দেখা মেলেনি। 'কড়ি খেলা' শেষ হতেই পর্দার থেকে গায়েব শুভ্রা থুড়ি ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কেন? খোঁজ নিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
বর্তমানে ছোটপর্দা থেকে দূরে থাকছেন ত্বরিতা। বেশ কয়েকটি ধারাবাহিককে না বলেছেন ইতিমধ্যেই। তাঁর কথায়, 'আপাতত নিজেকে একটু সময় দিচ্ছি। বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে অভিনয়ের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু চরিত্রগুলি ঠিক মনের মতো নয়। তাই কাজ করতে রাজি হয়নি। এ ছাড়াও অন্য একটি কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। খুব শীঘ্রই সেটির বিষয়ে জানাব।'
ত্বরিতা একাধারে অভিনেত্রী এবং পুষ্টিবিদ। স্বামী সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি ক্যাফেও চালাচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে এতগুলো কাজ! সামলান কী করে? খানিক হেসে ত্বরিতার উত্তর, 'আমি কখনওই যে কোনও একটি কাজে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনি। নানা ধরনের কাজ করতে ভালোবাসি। আগাগোড়াই তাই করে এসেছি। এ ক্ষেত্রে একটি কথা বলতেই হবে। পেশাগত জীবনের প্রত্যেক পদক্ষেপে আমার শ্বশুরবাড়ির সমর্থন পাই। ফলে আমার কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়।'
২০১০ সালে অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় ত্বরিতার। তারও আগে 'ওগো বধূ সুন্দরী'-তে ললিতা হয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ত্বরিতা। তাঁর পরিবর্তে আসেন ঋতাভরী চক্রবর্তী।
কেরিয়ারের শুরু থেকেই চরিত্রানেতা। কখনও নায়িকা হওয়ার ইচ্ছে হয়নি? ত্বরিতার স্পষ্ট কথা, 'আমি অভিনয়কে গুরুত্ব দিই। কোনও চরিত্রে অভিনয় করছি, তা নিছকই গৌণ বিষয়। অপুদা (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়), অম্বরীশদা (ভট্টাচার্য) আমার খুব প্রিয় অভিনেতা। একটা সময় পর্যন্ত ওঁরাও কিন্তু তথাকথিত মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেননি। আমার প্রিয় অভিনেত্রী শাবানা আজমির ক্ষেত্রেও তাই দেখেছি।'
নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চান ত্বরিতা। পাশাপাশি অন্যান্য কাজগুলিও চালিয়ে যেতে চান। তাঁর মতে, ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করলে দু'দিক রক্ষা করা সম্ভব হয়ে উঠবে না। অভিনেত্রীর যুক্তি, 'নায়িকা হলে আমাকে অনেক দিন এক টানা শ্যুট করে যেতে হয়। অন্য কোনও চরিত্র বা কাজ করার সুযোগ থাকে না। পরিবারকেও সময় দেওয়ার অবকাশ থাকে না।'
'কড়ি খেলা'য় শুভ্রা চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন ত্বরিতা। 'করুণাময়ী রাণী রাসমণি'-তে সারদামণির মায়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ইতিমধ্যে একটি ছবির কাজও সেরে ফেলেছেন তিনি। নাম 'বিদূষক'। এই ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।