খরচ নয়, সঞ্চয়ে বিশ্বাসী লেখিকা টুইঙ্কেল খান্না। ছেলেমেয়ে আরভ, নিতারার ভবিষ্যতে পড়াশোনার জন্য এবং মাস্টার্স কোর্সে যোগ দেওয়ার জন্য যথেষ্ট অর্থ সঞ্চয় করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে সুখী গৃহকোণ টুইঙ্কেলের।
১৯৯৫ সালে ‘বারসাত’ ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ রেন টুইঙ্কেল। ২০০১ সালের ‘লাভ কে লিয়া কুছ ভি কারেগা’ ছবির পর তিনি তাঁর অভিনয় জীবন ছেড়ে দেন। টুইঙ্কেল বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, অভিনয় জীবন মোটেই উপভোগ করেননি তিনি। কফি উইথ করণের একটি পর্বে তিনি স্বীকার করেছেন, 'আমি একজন ভয়ঙ্কর অভিনেতা ছিলাম'। আরও পড়ুন: ‘স্বদেশ’ থেকে ‘রেইনকোট’: স্টার কাস্ট নিয়ে তৈরি এই ছবিগুলি বক্স অফিসে চরম ব্যর্থ!
অভিনেত্রীর চ্যানেল টুইক ইন্ডিয়াতে, টুইঙ্কল আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলেছেন। কীভাবে তাঁকে টুইক শুরু করতে তাঁর সঞ্চয় ব্যবহার করতে হয়েছিল, সন্তানদের শিক্ষার জন্য সঞ্চয় করেছেন এবং সম্প্রতি নিজের জন্য একটি মাস্টার্স কোর্সের জন্য সঞ্চয় করেছেন।
টুইঙ্কেল বলেছেন, ১৭ বছর বয়সে প্রথম বেতন পেয়েছিলেন তিনি, ‘আমার মনে হয় লাড্ডু কেনার জন্য এটি যথেষ্ট ছিল। কিন্তু আমার প্রথম খানিকটা বেতনের কথা মনে আছে এবং আমি একটি গাড়ি, একটি সিলভার ওপেল কেনার জন্য রেখেছিলাম। ওরা সেই গাড়িটি আর তৈরি করে কিনা তাও আমি জানি না।’
টুইঙ্কল বলেছেন, তিনি সম্প্রতি তার সঞ্চয় থেকে একটি মাস্টার্স কোর্স করেছেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘ব্যবহার করেছি। মেয়ের কলেজের পড়াশোনার জন্যও সঞ্চয় করে রেখেছি। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি, ওদের পড়াশোনার খরচ যেন আমি বহন করতে পারি। আমি চাই ওরা বলুক, আমাদের মা শুধু আলু পরোটা খাওয়ান না, আমাদের পড়াশোনার খরচ বহন করেন।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি নিজের সাধ্যের তুলনায় বসবাস করি। আমি কোন কিছুর জন্য টাকা খরচ করি না। আমার পরিবার আমাকে উত্যক্ত করে এবং জিজ্ঞেস করে যে আমি কেন কাজ করছি, যদি আমি কোনও কিছুতে খরচ না করি!’
টুইঙ্কল ২০১৫ সালে ‘মিসেস ফানিবোনস’-এর মাধ্যমে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি ২০১৭ সালে প্রকাশিত ‘দ্য লিজেন্ড অফ লক্ষ্মী প্রসাদ’ শিরোনামের গল্পের একটি সংকলন এবং পরের বছর প্রকাশিত কল্পকাহিনী উপন্যাস ‘পাজামাস আর ফরগিভিং’ প্রকাশ পেয়েছিল।