ভাইরাল নন্দিনীর ডালহৌসি চত্ত্বরের পাইস হোটেলের চর্চা এখন ইন্টারনেটের আনাচে-কানাচে। ডালহৌসি চত্বরে গিয়েছেন অথচ নন্দিনী দিদির দোকানে খাননি, অফিস পাড়ায় এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। নিত্যদিনই ডালহৌসির ভাতের হোটেলে থাকে খদ্দেরদের লম্বা লাইন। সুদূর বাংলাদেশ থেকে এসেও নন্দিনীর হাতের খাবারের স্বাদ নিতে চলে আসেন অনেকে। আর ইউটিউবার, ফুড ভ্লগারদের ভিড় তো আছেই। নন্দিনীর পাইস হোটেলের এত খ্যাতি, সুনাম সবটাই কিন্তু ছড়িয়েছে ফুড ব্লগারদের হাত ধরে।
তবে আজকাল অনেকেই আবার বলছেন নন্দিনী দিদির পাইস হোটেলে খাবারের দাম নাকি বড্ড বেশি। সম্প্রতি সংহতি রায় নামে এক মহিলা ফেসবুকে রীতিমত নিন্দে করেন নন্দিনীর পাইস হোটেলের খাবারের। খাবারের দামের বিষয়ে তিনি লেখেন, 'আমরা পোলাও মটন কম্বো অর্ডার করেছিলাম সঙ্গে তিন পিস রুটি। মটনের চার পিসের সাইজ যা তাতে বড় জোর ১০০ গ্রাম হবে সেটার দাম নাকি ৪০০ টাকা। ভেজ পোলাও ৮০ টাকা। কোনও মেনু চার্ট নেই, দাম উল্লেখ নেই। আমার বিশ্বাস ওদের নির্দিষ্ট কোনও দাম নেই। তাই এমন একটা দোকানে গিয়ে এত দাম দিয়ে কেন এই খাবার খাব? খুবই অসন্তোষজনক অভিজ্ঞতা।'
আরও পড়ুন-আলিয়ার ‘মিমিক্রি’ করে ভাইরাল হন, মাত্র ২৪-এই অক্ষয় কুমারের ফ্ল্যাট কিনে নিলেন এই তরুণী
তবে সম্প্রতি এক ফুড ব্লগার সাইটে তাঁর পাইস হোটেলের জন্য বাজার কড়ার রহস্য ফাঁস করেছেন নন্দিনী দিদি। যে ভিডিয়োর ক্যাপশানে লেখা হয়েছে, ‘এতো দিনে বুঝলাম কেন নন্দিনীর হোটেলে খাবারের এত দাম!’
কিন্তু হোটেলের জন্য বাজার করা নিয়ে কী এমন বলেছেন ভাইরাল দিদি নন্দিনী?
নন্দিনীকে বলতে শোনা যাচ্ছ, ‘আমার বাবা যায় নিজে বাজার করতে। আমাদের মাছ নিয়ে আসা হয় মানিকতলা বাজার থেকে। যাঁরা কলকাতা ভালো মতো চেনেন, তাঁরা জানেন, ডালহৌসি থেকে মানিকতলা কত দূর! আমার বাবা সকাল ৫টা থেকে নিয়ে বেলা ১০টা অবধি বাজারে যায় আর আসে। বাবা তিনবার যায়, তিনবার আসে, এই বয়সে! আমার বাবা এখনও পর্যন্ত বাজারটা কারোর হাতে ছাড়েন নাা। আমার উপরও না। আমি পারিও না, আমাকে যেতেও দেওয়া হয় না।’
এদিকে কথা বলতে বলতেই নন্দিনী এক খরিদ্দারে বললেন, ‘এগুলো সব কাতলা। কী ভাজা মাছ খাবে? কে ভাজা মাছ খাবে গো?’
প্রসঙ্গত, ভাইরাল এই নন্দিনী দিদির ভালো নাম অবশ্য মমতা গাঙ্গোপাধ্যায়। তিনি পড়াশোনা করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে। বেঙ্গালুরুর এক হোটেলে ভালো চাকরিও করতেন। তবে করোনার সময়ে বাবা-মার সঙ্গে এই দোকান চালানোর স্বপ্ন নিয়ে সব ছেড়ে কলকাতা চলে আসেন। একবার দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে গিয়ে এমনটাই বলেছিলেন তিনি।