টেলিভিশনের অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ সাইরাস ব্রোচা। যিনি একজন হোস্ট, অভিনেতা, গায়ক হিসাবে গত দু-দশক ধরে নিজের পাকা জায়গা করে নিয়েছেন ‘দ্য বকরা গাই’ সাইরাস।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হন সাইরাস ব্রোচা। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নাকি জিম-যোগা কোনোটাই একেবারে পছন্দ করেন না। এমনকি যাঁরা জিমে শুধু গল্প করতে আসেন তাঁদেরও তিনি অপছন্দ করেন। যাঁরা কার্ডিয়ো ব্যায়াম করেন তাঁদেরও তিনি অপছন্দ করেন, বিশেষ করে সেসব ছেলেদের যাঁরা কার্ডিয়ো করে। তিনি বলেছেন, এমনিতেই ভারতীয় ছেলেদের সরু সরু হাত-পা হয়। এরপর তাঁরা কার্ডিয়ো করলে আরও ওজন কমে যায়, হাত-পা রোগা হয়ে যাবে। তাঁদের শেষ পর্যন্ত একটা বড় পিৎজার মধ্যে সরু সরু চারটে নুডল রাখলে যেমন লাগে, ঠিক তেমন দেখতে লাগবে।
যাঁরা তাঁকে সামাজিক মাধ্যমে ফলো করেনা, তাঁরা দেখতে পাননি নিজের কালো-সাদা একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। ‘বকরা গাই’ এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল তিনি জীবনে কখনো নিজের ওজন হ্রাস করার চেষ্টা করেননি। তিনি কখনো জিমও করেননি।
তিনি জানিয়েছেন, যখন কেউ তাঁকে বলে যে তাঁর ওজন কমে গেছে তখন তিনি অবসাদে চলে যান। সাইরাস যোগ করেন, অনেকেরই ভুল ধারণা জিমে কেউ ওজন হ্রাস করা করতেই যায়।ওয়েট লিফট করতে ভীষণ ভালোবাসেন সাইরাস। ফিট এবং শক্তিশালী থাকাটাই তাঁর লক্ষ্য। ৪৯ বছর বয়সী অভিনেতা জানিয়েছেন তিনি স্কোয়ার্ট, বেঞ্চ রেক, ৩৫০ পাউন্ড ওজন তোলেন, সবটাই তাঁর বাড়ির ছাদে ব্যবস্থা করা রয়েছে।
আগে তাঁর ওজন ছিল ৯৬.৪ কেজি। কিন্তু বর্তমানে তাঁর ওজন ৯১ কেজি। নিজের রুটিন সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন। সকালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে পছন্দ করেন তিনি। সকাল ৪.৪৫-এ ঘুম থেকে উঠতেন। ৫ টায় কুকুরকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে যান। ফিরে এসে প্রোটিন শেক খান। ৬টা থেকে ঘন্টা খানেক ব্যায়াম ও হাঁটাহাটি করেন। এরপর ডিম খেয়ে ৮টা ৪৫-এ বেরিয়ে যান ও রাত দশটায় ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা এবং রাতে জলদি ঘুমিয়ে যাওয়াই তাঁর রোজনামচা।
তিনি মনে করেন ব্যায়ামের পাশাপাশি খাওয়াদাওয়াকে কখনো ত্যাগ করা উচিত নয়। তিনি বলেন, তাঁর ডায়েটে খাওয়া-দাওয়া অনেকটাই বেশি। প্রতিদিন ১৮-২০ টা ডিম এবং তিন বেলা প্রোটিন শেক খান তিনি। অ্যালকোহল খাওয়া সম্পূর্ণ ছেড়ে দিয়েছিলেন; ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি প্রচণ্ড নেশা করতেন। তিনি অনেকবার চেষ্টা করেছেন নিজের ডায়েট পরিবর্ত করার, তবে আলুর চিপস এবং রঙিন কোল্ড ড্রিংস যেগুলো বাচ্চারা খায় সেগুলো তিনি কখনই ছাড়তে পারবেন না। তিনি মালাই খেতে পছন্দ করেন এমনকি কেকও। তিনি কি নিজের রান্না একাই করেন? প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে একটু হেসে ফেলেন সাইরাস; সব কিছুতেই সহায্য চাই তাঁর, কোনো কাজই একা পারেন না তিনি বলে জানিয়েছেন।