সোমবার মহানায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘মহানায়ক সম্মান' প্রদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর সোহম ও নুসরত জাহানকে মহানায়ক সম্মান দেওয়া হয়েছিল, এবার তালিকায় যোগ হল অঙ্কুশ, সায়ন্তিকা, শুভশ্রীদের নাম। তবুও ব্রাত্যই রইলেল টলিউডের ‘বস’ জিৎ। স্বভাবতই ক্ষুব্ধ জিৎ ভক্তরা। ‘মহানায়ক’ সম্মান পেয়ে ট্রোলের মুখে অঙ্কুশ, সায়ন্তিকারা। একজন লেখেন, ‘আচ্ছা সায়ন্তিকা শেষ ছবি কোনটা ছিল?’ যেখানে জিতের মতো অভিজ্ঞ এই পুরস্কার পাননি, সেখানে অঙ্কুশ কীভাবে এই সম্মান পাওয়ার যোগ্য? প্রশ্ন অনেকের।
এবার শুধু নেটিজেনরা নয়, রাজ্য সরকারের তরফে জিতের প্রতি উদাসীনতার অভিযোগ প্রযোজক রানা সরকারের। বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে হামেশাই চর্চায় থাকেন প্রযোজক, এবার তাঁর সরাসরি প্রশ্ন- ‘জিৎ কেন মহানায়ক সম্মান পায় না?’ পুরস্কার তালিকা দেখে নেটিজেনদের অভিযোগ, ‘শাসকদল ঘনিষ্ঠ তারকা বা সে দলের সাংসদ-বিধায়কদের বেছে বেছে বিশেষ সম্মানে পুরস্কৃত করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে'। সায়ন্তিকা তৃণমূলের হয়ে বিধানসভা ভোটে লড়ে হেরে যান, কিন্তু তারপর থেকে অভিনয় ভুলে রাজনীতিতেই মন দিয়েছেন অভিনেত্রী। অপর মহানায়ক সম্মান প্রাপর শুভশ্রী, তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর স্ত্রী। পুরস্কার নিয়ে কম খোঁটা শুনতে হয়নি শুভশ্রীকেও। অঙ্কুশ সরাসরি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত না হলেও দিদি-পন্থী হিসাবেই পরিচিত।
প্রসঙ্গত, রাজনীতি থেকে লক্ষ যোজন দূরে থাকেন জিৎ। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া তো দূর অস্ত, রাজনৈতিক সমাবেশেও ভিড় করতে দেখা যায় না জিৎকে। অথচ বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অবদান ভোলার নয়। অবাঙালি এই অভিনেতা ২৩ বছর ধরে সবটা উজাড় করে দিয়েছেন টলিউডের জন্য়। অনুরাগীদের দাবি, তৃমমূল শিবিরের সঙ্গে যুক্ত নন বলেই সম্মান জানানো হয় না তাঁকে। রানার পোস্টের কমেন্ট বক্সে এক জিৎ ভক্ত লেখেন- ‘জিৎ তো কারুর পা চাটে না সেই কারনে পাই না সম্মান’। অপর একজন লেখেন, ‘জিৎ বিন্দুমাসির দলে নেই বলে কোনও সম্মান পায় না’।
বর্তমানে টলিগঞ্জের অধিকাংশ তারকাই সারসারি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তবে সেই পথের পথিক হননি জিৎ। রাজনীতি থেকে দূরে থাকার বিষয়ে অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন- ‘যে কাজটা পারি না সে কাজটা করার চেষ্টাও করি না। কাল যদি আমায় বলা হয় বিরাট কোহলির সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে, আমি নিশ্চয়ই পারবো না। আমি রাজনীতি বুঝি না। তাই রাজনীতিতে নেই'।