Kangana Ranaut: ২৫শে জানুয়ারি পর্যন্ত কঙ্গনাকে গ্রেফতার নয়, হাই কোর্টকে জানাল মুম্বই পুলিশ

শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার মামলায় এমনটা জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।

কঙ্গনা রানাওয়াত 

বড় স্বস্তি কঙ্গনা রানাওয়াতের। আগামী ২৫শে জানুয়ারি পর্যন্ত কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না মুম্বই পুলিশ, এদিন বম্বে হাই কোর্টে তেমনটাই জানিয়েছে তাঁরা। শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে খার পুলিশ থানায় দায়ের এফআইআর নিয়ে সোমবার এই নিশ্চয়তা দিয়েছে মুম্বই পুলিশ।

অভিনেত্রী আগামী ২২ ডিসেম্বর খার পুলিশ থানায় উপস্থিত হয়ে তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন, ওইদিন এই মামলায় নিজের বয়ান রেকর্ড করাবেন কঙ্গনা। অভিনেত্রীর তরফে এই আশ্বাসবাণী মেলবার পরেই বম্বে হাই কোর্টে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

শিখ সম্প্রদায়ের তরফে দায়ের এফআইআর খারিজের আর্জি নিয়ে চলতি মাসের শুরুতেই বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কঙ্গনা। গত ২১ নভেম্বর কঙ্গনা ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছিলেন, যা শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে, এই অভিযোগ তুলে অভিনেত্রীর নামে গত ২৩ শে নভেম্বর খার থানায় এফআইআর দায়ের অমরজিত সিং সান্ধু নামের এক ব্যক্তি এবং দিল্লি শিখ গুরুদুয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং শিরোমণি অকালি দলের বেশ কিছু নেতা।

কেন্দ্রের তরফে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতেই নিজের হতাশার কথা জানান কঙ্গনা। ক্ষোভ উগরে দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন অভিনেত্রী। দিল্লি বর্ডারে আন্দোলনরত কৃষক আন্দোলনকে 'খালিস্তানি আন্দোলন' বলে উল্লেখ করেন, এতেই অভিনেত্রীর উপর ক্ষুব্ধ হয় শিখ সম্প্রদায়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তুমুল সমালোচনা হয় কঙ্গনার মন্তব্যের।

কঙ্গনার বিরুদ্ধে ২৯৫ (এ) (ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো) ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে। গত শুক্রবার কঙ্গনার আইনজীবীরা বিচারপতি নীতিন জামদার এবং বিচারপতি সারং কোটওয়ালের ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকদের মতোই সংবিধানের ১৯/১ (এ) ধারা অনুসারে কঙ্গনার বাক স্বাধীনতা রয়েছে, এবং তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম কেস খাঁড়া করা যাবে না, তাই এই এফআইআর খারিজ করা হোক।

সরকারি পক্ষের আইনজীবী জানান, কৃষক আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন শিখ সম্প্রদায়, তাই এটি নিশ্চিতভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে করা মন্তব্য। কঙ্গনাকে এই মামলায় তদন্তে যোগ দিতে বলা হলে পুলিশের আবেদনে সাড়া দেননি কঙ্গনা এমনটাও কোর্টের কাছে নালিশ করেন সরকারি আইনজীবী অরুণা পাই। এরপর তিনি আশ্বাস দেন আগামী শুনানি পর্যন্ত কঙ্গনার বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না পুলিশ। এরপর কঙ্গনা আগামী ২২ ডিসেম্বর তদন্তে যোগ দিতে পুলিশের মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২৫শে জানুয়ারি।