আজব বলবেন, অদ্ভূত বলবেন নাকি নিজের কপাল চাপড়াবেন- সবটাই নির্ভর করছে আপনার উপর, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই পরিবার আপনাকে হয়রান করবে! দুই স্ত্রীকে নিয়ে এক ছাদের তলায় বাস করেন ইউটিউবার আরমান মালিক। দুই সতীনের এ এক অন্যরকম কাহিনি। আরমানের দুই স্ত্রী পায়েল আর কৃতিকাকে দেখলে মনে হবে ‘সোল সিস্টার্স’। একই রকম সাজ-পোশাকে হামেশা ধরা দেন তাঁরা, সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের ফলোয়ার সংখ্যা কয়েক লক্ষ। এবার তো একসঙ্গে মা-ও হতে চলেছেন দুজনে।
গত ডিসেম্বরেই দুই স্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়ে ব্যাপক ট্রোলড হয়েছিলেন ইউটিউবার আরমান। আরমান ও তাঁর প্রথম স্ত্রী পায়েলের এক পুত্র সন্তান রয়েছে নাম চিরাউ মালিক। চারজনের সুখী পরিবারে আরও তিনজন নতুন সদস্য আসতে চলেছে। আরমানের এক স্ত্রী যমজ সন্তানের জন্ম দেবেন।
ইনস্টাগ্রামে কৃতিকার ফলোয়ার সংখ্যা ৫৩ লক্ষ, অন্যদিকে পায়েলকে ফলো করেন ৩৫ লক্ষ নেটিজেন। একসঙ্গে করওয়া চৌথ পালন থেকে, ছুটি কাটাতে যাওয়া কিংবা শপিং- হামেশা হাসিমুখে লেন্সবন্দি হন পায়েল-কৃতিকা। এবার একসঙ্গেই হল দুজনের সাধের অনুষ্ঠান।
সাধের অনুষ্ঠানে একদম কনের সাজে পাওয়া গেল আরমানের দুই স্ত্রীকে। হালকা গোলাপি রঙা জমকালো লেহেঙ্গায় সেজেছিলেন দু-জনে। কৃতিকা-পায়েলের পরনে ছিল হিরের নেকপিস আর ভারী দুল, মাথায় মাংগটিকা। পরিপাটি করে বাঁধা চুল, এই লুককে অনেকেই তুলনা করছেন কিয়ারা আডবানির ওয়েডিং ডে লুকের সঙ্গে। পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে নতুন সদস্য়ের আগমনের উদযাপন সারলেন এই ত্রয়ী।
আরমান মালিকের পরিবারের এই কাণ্ড দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের বন্যা। একজন লেখেন, ‘বাপরে, একটা বউই সামলানো দায়, আর এই লোকটা তো দুটো বউকে সামলাচ্ছে, দম আছে’। অপর একজন লেখেন, ‘সংস্কৃতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে, দুই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সাধ ভক্ষণ অনুষ্ঠান কী করে একসঙ্গে হচ্ছে? এমনটা গুজরাতি কালচারে তো নেই’। আরেকজন লেখেন, ‘এদের মানসিকতাই খারাপ, সমাজকে ভুল বার্তা দিচ্ছে’।
আরমানের আসল নাম সন্দীপ, হরিয়ানার ছেলে সে। ২০১১ সালেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন সন্দীপ-পায়েল। এরপর ২০১৮ সালে ধর্ম পালটে কৃতিকার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন সন্দীপ। পায়েলের বান্ধবী কৃতিকাকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেন আরমান। এবং ৬ দিনের মধ্যেই পায়েলের সম্মতিতেই বিয়ে করেন কৃতিকাকে। এখন দুই সতীন সুখে সংসার করলেও শুরুর দিকে বিষয়টা এতটা মসৃণ ছিল না।
পায়েলের পরিবার জামাইয়ের দ্বিতীয় নিয়ে আপত্তি তোলে, এবং সন্দীপের কথায় বাপের বাড়ির লোকজনের প্ররোচনায় পায়েল একটা সময় তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিল। সেই সময় দিল্লির এক ছয় তলা বিল্ডিং-এ উঠে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন সন্দীপ ওরফে আরমান। ২০ ঘন্টা ধরে চলেছিল সেই হাই-ভোল্টেজ ড্রামা। এরপর দিল্লি পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। ঘটনা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের। এখন সব দ্বন্দ্ব ভুলে দুই সতীন সুখে সংসার করছেন।