সকলেই জানেন যে স্পন্ডিলাইটিস হচ্ছে একটি প্রদাহজনক রোগ, যা হলে প্রথম শিরদাঁড়া এবং তারপর স্যাক্রোলিয়াক গাঁটগুলোয় বেশি ব্যথা হতে থাকে। এছাড়াও এই রোগ শুধু ঘাড় বা শিরদাঁড়ায় নয়, গোড়ালি, হাঁটুতে প্রভাব ফেলতে পারে। একই সঙ্গে স্পন্ডিলাইটিস হলে টিস্যু এবং টেন্ডনগুলো যেখানে লিগামেন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকে সেখানেও ব্যথা হতে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস হল একধরনেরস্পন্ডিলাইটিস, যেখানে স্পন্ডিলাইটিসের যন্ত্রণা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। এর ফলে রোগী ভীষণ দুর্বল হয়ে যান। যাঁরা এই ধরনের স্পন্ডিলাইটিের রোগী হন, তাঁদের প্রতিমাসে অন্তত একবার করে এই ভয়ানক ব্যথা হবেই, এবং সেটা দু সপ্তাহ অবধি স্থায়ী হতে পারে।
এই রোগ হলে শরীরে স্টিফনেস চলে আসে যেটা ঘুম থেকে ওঠার পর কম করে দু ঘণ্টা, কখনও আবার সারাদিন থেকে যায়। কিন্তু যদি আপনি কাজের মধ্যে থাকেন, নিয়মিত শরীর চর্চা করেন এবং ধূমপান ত্যাগ করেন তাহলে কিন্তু আপনি এই রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। যদিও হঠাৎ হঠাৎ কেন এই ব্যথা হয় সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি তবুও মনে করা হয় ধূমপান করলে সেটা আরও বাড়ে এবং চিকিৎসায় কাজও দেয় না। হালকাস্পন্ডিলাইটিসের জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা আছে যেমন ফিজিওথেরাপি, এনএসএআইডি, ইত্যাদি।
আচমকা এই ব্যথা হলে বাড়িতে কী করবেন দেখে নিন।
১. যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম এবং ঘুমের প্রয়োজন হয় এই সময়। তাই যতটা পারবেন নিজের শরীরকে বিশ্রাম দেবেন আর ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। বেশি ঘুমাবেন না। কিন্তু দিনে ৭-৮ ঘণ্টা নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমাবেন।
২. বাতের ডাক্তারের কাছে যান। তিনিই আপনাকে সঠিক চিকিৎসার পদ্ধতি বলে দেবেন।
৩. নিজের শান্ত রাখা অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে মেডিটেশন করুন, এমন বই পড়ুন যাতে উত্তেজনা দূর হয়। দীর্ঘ শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। এক কথায় যতটা পারবেন নিজেকে শান্ত রাখুন।
৪. হার্ট কোল্ড থেরাপি করতে পারেন যা আপনাকে পিঠের যন্ত্রণা থেকে সাময়িক মুক্তি দেবে। অথবা গরম সেঁক দিতে পারেন ব্যথার জায়গায়।
৫. হালকা কোনও ব্যায়াম করতে পারেন যা আপনার শরীরের কার্যক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করবে। যেমন যোগ ব্যায়াম, সাঁতার, দৌড়ানো, ইত্যাদি করতে পারেন।