ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়শই ভাত খান না। তার কারণ এতে উচ্চ মাত্রায় glycemic index (GI) থাকে বলে মনে করা হয়।। যদিও অনেক পুষ্টিবিদই মনে করেন, যদি ভাত প্রোটিন, ফাইবার বা ফ্যাটের সঙ্গে ঠিক করে মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে এটি ডায়াবিটিসে আক্রান্তরাও নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। শুধু তাই নয়, এটি হয়তো রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতেও পারে।
ডায়াবিটিসের ঝুঁকি এড়িয়ে কীভাবে ভাত খাবেন?
দই ভাত: দইয়ে উচ্চ মানের চর্বি এবং প্রোটিন রয়েছে। এটির সঙ্গে ভাত মেশালে আপনার খাবারের জিআই কমে যায়।
GI level: খুব কম। মাত্র ৩৫ মতো।
ছোলার ডাল মা রাজমার সঙ্গে ভাত: ডালে ফাইবার বেশি এবং প্রোটিন মাঝারি মাত্রায় থাকে। কিন্তু এখানে ডাল মানে রেস্তরাঁর ডাল মাখানির কথা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে বাড়ির ডাল-ভাতের কথা। এর জিআই কম। কিন্তু প্রতিদিনের খাবার হিসেবে এটি খাওয়া ঠিক নয়।
GI level: খুব কম। এটিও মাত্র ৩৫ মতো। (শুধু ডালের ক্ষেত্রে তা মাত্র ১৭)
পনির এবং আাজ দিয়ে পোলাও: শাকসবজি খাবারে ফাইবার এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের মাত্রা বাড়ায়। পনিরে প্রোটিন এবং চর্বি থাকে।
GI level: অত্যন্ত কম। ৪০-এর নীচে। এতে এত অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, এটির GI সঠিকভাবে গণনা করা যায় না।
মাছ ভাত: ভাতের সঙ্গে মাছের মিশ্রণ করলে তা ডায়াবিটিসের মাত্রা কমাতে দারুণ সাহায্য করে। মাছ খাবারের জিআই কমাতে সাহায্য করে।