নিথিন কামাথের স্ত্রী, সীমা প্যাটেল, ২০২১ সালে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। দীর্ঘ ১০ মাসের চিকিৎসার পর, তিনি অবশেষে ক্যানসার মুক্ত হয়েছিলেন। মাত্র ১০ মাস! সময়টা শুনতে অত্যন্ত কম লাগলেও এই ১০ মাসে যে কী ভীষণ নরক যন্ত্রণা সহ্য করেছিলেন সীমা। সে কথাই শেয়ার করেছেন এদিন। সম্প্রতি, সীমা তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ার অভিজ্ঞতা এবং কীভাবে তিনি এবং তাঁর পরিবার এই মারণ রোগের সঙ্গে মোকাবেলা করেছেন, তা শেয়ার করেছেন। দিলীপ কুমারের পডকাস্ট- দ্য আদার সাইডে এই বিষয়ে কথা বলেছেন সীমা।
- চিকিৎসার খরচ ছিল সামর্থ্যের বাইরে
পডকাস্টে ওই মহিলা বলেছিলেন যে তিনি নিজের যেকোনও বিষয় ব্যক্তিগত রাখতে ভালোবাসেন। তাই সীমা শেয়ার করেছেন যে তাঁর ক্যানসার ব্লগ পোস্টটি আসলে তাঁর স্বামী নিথিন কামাথ লিখেছেন। যাইহোক, তিনি এদিন এটিও জানিয়েছেন যে, এই রোগের চিকিৎসার খরচ কত এবং সাধারণ মানুষ কতটা বহন করতে পারবেন। ক্যানসার ধরা পড়ার পর তিনি একটি ছোট ক্লিনিকে গিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন যে পিইটি স্ক্যানের খরচ অনেক ব্যক্তিরই সামর্থ্যের বাইরে।
- ক্যানসার কীভাবে তাঁর জীবনে পরিবর্তন এনেছে
যখন ক্যানসারের জটিল চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন, প্যাটেল তখন বুঝেছিলেন যে কীভাবে একটি রোগ একজন ব্যক্তি জীবনের অভিজ্ঞতা বদলে দিয়েছে। তিনি পডকাস্টে এটিও বলেছিলেন, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে জীবন খুব ছোট। আমাকে এমন কিছু করতে হবে যা করতে আমি আগ্রহী। আমাকে এমন কিছু খুঁজে পেতে হবে যা আমি সত্যিই ভালোবাসি।
- কেমোথেরাপি সম্পর্কে তিনি কেমন অনুভব করেছিলেন
কেমোথেরাপি সত্যিই খারাপ। প্রথমবার যখন আমি কেমোথেরাপি করি, এটি আমাকে ভীষণভাবে আঘাত করেছিল, এবং আমি জানতাম না কী ঘটছে, এর মধ্য দিয়ে যাওয়ার চেয়ে মরে যাওয়া ভাল। কিন্তু দ্বিতীয়বার, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে শুধু শুয়ে থাকার পরিবর্তে সোফায় বিশ্ব, কিংবা হাঁটব, এতে কিছু পরিবর্তন হতে পারে- এবং এটি হয়েও ছিল। দ্বিতীয় কেমোথেরাপির পর আমি দ্রুত সুস্থ হয়ে ঊঠেছিলাম।
এতটা বিপদের দিনে সীমার স্বামী নিথিন কামাথ যে কীভাবে তাঁর পাশে থেকেছেন। তাঁকে হাসিয়েছেন, তা কখনও ভোলার নয়। এই মোক্ষম সময়ে তাঁরা দু'জন একে অপরকে সাহায্য করেছেন। সীমার কথায় জানা গিয়েছে, নিথিন সর্বদা সেখানে ছিলেন, কিন্তু আমি মনে করি না যে তিনি মানসিক চাপে ছিলেন। তিনি কখনওই আমাকে নিয়ে নেতিবাচকভাবে চিন্তা করেননি।