চিতল মাছের মুইঠ্যা আর কালিয়া, পদ দুটির নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। বাঙালির রসনার তৃপ্তির জন্য কোনও অনুষ্ঠানে এই পদের জুড়ি মেলা ভার। অনুষ্ঠানবাড়ির ক্যাটারাররা নানা উপকরণ দিয়েই চিতল মাছের কালিয়া থাকেন। তবে সাবেকি কালিয়ার মতো স্বাদ সব রান্নায় পাওয়া যায় না। মা ঠাকুমার হাতে রাঁধা সেই পদের স্বাদ ভোলার মতো নয়। তাই এই প্রতিবেদনে থাকছে সেই সাবেকি কালিয়ার রেসিপি। একবার রেঁধে বাড়ির সদস্যদের খাইয়ে দেখুন। সবাই ধন্য ধন্য করবেই।
বাড়িতে সবসময় মজুত থাকে এমন কিছু উপকরণ দিয়েই চিতল মাছের সাবেকি কালিয়া বানানো যায়। এই বিশেষ ধরনের রেসিপি বানাতে তেমন কোনও ঝুট ঝামেলা পোহাতে হয় না।
উপকরণ:
চার টুকরো চিতল মাছ, সরষের তেল ৩০ মিলি লিটার,এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, অর্ধেক চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো, অর্ধেক চা চামচ কাশ্মিরি লঙ্কার গুঁড়ো, পরিমাণ মতো লবণ, পাঁচ থেকে ছটা কাঁচা লঙ্কা, ১০-১২ টা কাজুবাদাম, ছ'টা কিশমিশ, এক চা চামচ জিরে, অর্ধেক ইঞ্চি আদা, এক চা চামচ বেটে রাখা গোটা গরম মশলা, এক কাপ হালকা গরম জল, একটা বড় আকারের পেঁয়াজ, দুটো টম্যাটো।
পদ্ধতি:
প্রথমেই পেঁয়াজ ও টম্যাটো আলাদা আলাদা করে পেস্ট করে রাখতে হবে। চিতল মাছের টুকরোগুলো ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। তারপর এতে হলুদ আর লবণ ভালো করে মাখিয়ে ১৫ মিনিট ম্যারিনেশনের জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর আঁচ মাঝারি করে কড়াইয়ে সরষের তেল দিন। তেল গরম হয়ে এলে তেলে এক চিমটে লবণ দিন। তেলে লবণ দিলে মাছ ভাজার সময় কড়াইয়ে লেগে যায় না। এবার সাবধানে মাছের টুকরো ভেজে নিয়ে তুলে রাখুন। এবার ওই তেলেই তিনটে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। তারপর জিরে আদা ও কাঁচা লঙ্কা একসঙ্গে বেটে কড়াইয়ে দিয়ে কষান। এরপর টম্যাটো পেস্ট, লঙ্কা, হলুদ ও কাশ্মিরি লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষান। মশলার তেল ছেড়ে এলে কাজুবাদাম ও কিশমিশ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে কড়াইয়ে এক কাপ জল ঢালুন। কড়াই ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ জল ফুটিয়ে নিয়ে তাতে মাছগুলো একে একে ছেড়ে দিন। এরপর গরম মশলা বাটা দিয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি চিতল মাছের কালিয়া।