ডায়াবিটিস মানেই চিকিৎসকের একগাদা ওষুধ। তার সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার উপর নানারকম বিধিনিষেধ। আগে যে সব খাবার ছাড়া খাওয়াটাই জমত না, সে সবই এখন নিষেধের তালিকায়। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলেই রক্তে শর্করা বেড়ে যায়।
চিকিৎসক ডায়াবিটিস হলে যেসব খাবার খেতে বলেন, তার অধিকাংশই তেমন সুস্বাদু হয় না। বরং দিনের পর দিন খেতে খেতে মুখের রুচি চলে যায়। একঘেয়েমি কাটাতে তাই মাঝে মাঝে অন্যরকম পদও রাঁধা যেতে পারে। ডায়াবিটিসের ভয় নেই, এমন কিছু পদের হদিশ থাকছে এই প্রতিবেদনে।
১. ঢ্যাঁড়স কারি:

উপকরণ: চার টেবিল চামচ ভোজ্য তেল, এক কাপ কুচো করে কাটা পেঁয়াজ , ৪০০ গ্ৰাম ঢ্যাঁড়স, এক চা চামচ জিরে, সামান্য হিং, দুই চা চামচ আদা রসুন বাটা, দু-তিনটে চেরা কাঁচালঙ্কা, এক চামচ ধনে গুঁড়ো, দুই চামচ কাশ্মিরী লঙ্কাগুঁড়ো, অর্ধেক চা চামচ জিরে গুঁড়ো, এক কাপ দই, এক চা চামচ ময়দা, অর্ধেক চা চামচ গরম মশলা ও স্বাদমতো লবণ।
পদ্ধতি: প্রথমে ঢ্যাঁড়স ধুয়ে অর্ধেক করে কেটে রাখুন। এবারে একটি প্যানে তেল গরম করে ঢ্যাঁড়সগুলো হালকা বাদামি করে ভেজে নিন। ঢ্যাড়স তুলে রেখে এবার পেঁয়াজ ও জিরে হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে আদা রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। এরপর প্যানে হাফ কাপ জলে মশলা ও নুন দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে এলে দই ও ময়দা দিয়ে তেল না ছাড়া পর্যন্ত কষাতে থাকুন। তেল ছেড়ে এলে ঢ্যাঁড়স ও জল দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট কষিয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি ঢ্যাঁড়স কারি।
২. নারকেল দিয়ে গ্ৰিলড মাছ:

উপকরণ: একটি কুচো করে কাটা পেঁয়াজ, এক চা চামচ গ্ৰেট করা আদা, এক চা চামচ সরষে বীজ, ২০ গ্ৰাম কোড়ানো নারকেল, একটি ছোট করে কেটে রাখা ট্রাস টম্যাটো, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, মাছের চারটি ফিলে, সিদ্ধ করা বিনস, কাস্টার চিনি
পদ্ধতি: মাঝারি আঁচে প্যানে তেল দিয়ে পাঁচ মিনিট পেঁয়াজ ভেজে তাতে আদা ও সরষে দিয়ে ৩০ সেকেন্ড ভেজে নিন। এরপর কোড়ানো নারকেল দিয়ে এক-দু মিনিট কষিয়ে আলাদা করে রাখুন। এরপর আলাদা করে টম্যাটো, লঙ্কা, লেবুর রস, চিনি ও ধনেপাতা একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। আগে থেকে গরম করা বার্বিকিউ গ্ৰিলে মাছগুলো সামান্য তেল মাখিয়ে বসিয়ে দিন। দু-তিন মিনিটে এভাবে দুই পাশ সিদ্ধ হয়ে এলে একটি কাঁটা চামচ দিয়ে তুলে নিন। সিদ্ধ করা সবজি ও নারকেল মিশ্রণ দিয়ে এবার সাজিয়ে নিলেই তৈরি গ্ৰিলড মাছের রেসিপি।