ভারতের বেশিরভাগ স্থানেই শীতকালে আর্দ্রতা কম থাকে। এর ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়ে খড়ি ফুটে ওঠার সমস্যা হয়। গায়ে সাদা-সাদা দাগ ফুটে ওঠে। পাশাপাশি, এটি ত্বকের ক্ষতিরও লক্ষণ।
ময়েশ্চরাইজার মেখেও লাভ হয় না
অনেকেই অভিযোগ করেন, হাজারো দামি ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করেছেন। তবুও কোনও লাভ হয় না। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। খড়ি ফুটে ওঠে কয়েক ঘণ্টা বাদেই। ময়েশ্চরাইজারের বোতল নিয়ে ঘুরতে হয়।
এর পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে
১. শীতকালে অনেকেরই জল কম পান করা হয়। এর ফলে শরীর আমাদের অজান্তেই ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে ত্বকেও। এর ফলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়।
২. ত্বকের উপরের স্তরে মৃত কোশ জমে থাকলে শুষ্ক ভাব বেশি হবে।
তাহলে উপায়?
১. খুবই সহজ। রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
২. স্নানের সময়ে হালকা হাতে, লুফা দিয়ে স্ক্রাবিং করুন।
স্নানের পরেই সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চরাইজ
স্নান সেরেই ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করুন। আমাদের প্রত্যেকের ত্বক আলাদা। তাই আপনার ত্বকে যেই ধরনের ময়েশ্চরাইজার ও বডিলোশন স্যুট করে, সেটাই ব্যবহার করুন। তবে খুব বেশি চটচটে, হেবি ক্রিম ব্যবহার করা এড়িয়ে চলাই ভাল।
স্নানের জল
শীতকাল মানেই গরম জলে স্নান। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, স্নানের জল যেন অতিরিক্ত গরম না হয়। বেশি উষ্ণ জলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়।
সাবান
শীতে যে গ্লিসারিন সাবানই একমাত্র ব্যবহার করতে হবে, এমন কোনও মানে নেই। তবে সারা বছরই বেশি ক্ষার আছে এমন সাবান এড়িয়ে চলুন।