দিন দিন বেড়ে চলেছে গ্রিন হাউস গ্যাস। পরিবেশ দূষণের জন্য বেড়ে চলেছে সারা বিশ্বের উষ্ণতা। এই দিকে পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ বিশ্ব জুড়ে বাড়তে থাকা আবর্জনার পরিমাণ। এই আবর্জনা রিসাইকল না করা হলে বাড়তেই থাকবে পরিবেশ দূষণ। সেই ভাবনা থেকেই নন্দন মলের হুলাডেক রিসাইক্লিং-এর যাত্রা শুরু। বর্জ্যের পরিমাণ না বাড়িয়ে কমানোর ও নতুন করে ব্যবহার করার উদ্যোগ নিয়েছে হুলাডেক।
কোন ধরনের বর্জ্য নিয়ে কাজ হুলাডেকের?
হুলাডেকের প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার নন্দন মল বলেন, আধুনিক সময়ে বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতির ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে বৈদ্যুতিন বর্জ্য। সেই বর্জ্যকে রিসাইকল করে ব্যবহার করার উদ্যোগ নিয়েছেন নন্দন। ২০১৫ সালে শুরু হয় এই সংস্থার পরিষেবা। সেই থেকে ধীরে ধীরে সারা ভারতের মোট ১৮টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে হুলাডেকের পরিষেবা।
কীভাবে বৈদ্যুতিন বর্জ্য রিসাইকল করা হয়?
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণকারী বোর্ডের অধীনে লাইসেন্স প্রাপ্ত হুলাডেক বর্তমানে কোকা কোলা, পেপসি কো ও নেসলে ইন্ডিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। এছাড়াও, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ও হিডকোর সঙ্গেও চুক্তি রয়েছে হুলাডেকের। অধিকর্তা নন্দন মল বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে অব্যবহৃত বৈদ্যুতিন বর্জ্যও সংগ্রহ করে হুলাডেক। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে দুই হাজার টন বর্জ্য নিস্কাশন ও রিসাইকল করেছে ই-ওয়েস্ট সংস্থা। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়িয়ে তিন হাজার টন করা হবে।
কোথায় কোথায় হুলাডেকের পরিষেবা পাওয়া যাবে?
নন্দন মল জানাচ্ছেন, বর্তমানে ১৮টি রাজ্যে রয়েছে হুলাডেকের পরিষেবা। সব মিলিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ ও রিসাইকল করার ৩০টি কেন্দ্র রয়েছে সারা দেশে। পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে একাধিক কেন্দ্র। কলকাতা, হলদিয়া ও শিলিগুড়ির মতো প্রধান প্রধান জায়গায় রয়েছে হুলাডেকের অফিস। ফলে পরিষেবা আরও উন্নত করার দিকেই নজর রয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup