বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > How to Stop Snoring: মারাত্মক নাক ডাকার চোটে পাশে কেউ ঘুমোতে পারছেন না, কী করবেন
অনেকেরই ঘুমোলেই ডাকতে থাকে নাক। পাশে কেউ শুতেই চান না। অস্বাভাবিক নাক ডাকার কারণে কখনও কখনও ভেঙে যায় ঘুমও। মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। তারপর সারাদিন ঝিমুনি ভাব। আপনি জানেন কি, আপনার অজান্তেই ঘুমের মধ্যে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক?
কী কী কারণে নাক ডাকে?
- নাকে মাংস বৃদ্ধির ফলে নাকের নালি ছোট হয়ে শ্বাসে বাধার সৃষ্টি করে।
- শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গলার চারপাশে চর্বি জমা হয়। কমে যায় গলার পেশির নমনীয়তা। তখন নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে।
- জন্মগত কারণে শ্বাসযন্ত্র সরু হলে বা চোয়ালে কোনও সমস্যা থাকলে নাক ডাকতে পারে।
- ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে এই সমস্যা হতে পারে।
- থাইরয়েডের সমস্যা ও গ্রোথ হরমোনের আধিক্যজনিত রোগেও নাক ডাকতে পারে।
- অনেক সময় চিত হয়ে ঘুমোলে জিভ পিছনে চলে গিয়ে শ্বাসনালি বন্ধ করে দেয়। তখন নাক ডাকে।
নাক ডাকা থেকে মুক্তির কয়েকটি উপায়:
- শোয়ার ভঙ্গি পাল্টানো: পাশ ফিরে শুলে এ সমস্যা কমতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিত হয়ে শোয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে পায়জামায় কোমরের কাছে টেনিস বল রাখতে পারেন। এতে ঘুমের মধ্যে আপনা-আপনি চিত হয়ে যাওয়া থেকে রেহাই পাবেন।
- ওজন কমানো: অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সাধারণ কারণগুলোর একটি। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। এই সমস্যা কমবে।
- মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ছাড়ুন: অ্যালকোহল কিংবা মদজাতীয় পানীয় জিভের পেশিগুলো শিথিল করে দেয়। এতে শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে পড়ে। ফলে মানুষ নাক ডাকতে পারে। এই অভ্যাস ত্যাগ করুন।
- ভালো ঘুমের চেষ্টা: অনিদ্রার অনেকগুলো কুফলের মধ্যে একটি নাক ডাকা। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন।
- ঘুমোনোর আগে প্রচুর জল খান: এই অভ্যাসও নাক ডাকার সমস্যা কমিয়ে দিতে পারে।
টুকিটাকি খবর