যতই কোভিডের মতো অসুখ মানুষকে ভয় দেখাক না কেন, ক্যানসার সম্পর্কে মানুষের আতঙ্ক তাতে বিন্দুমাত্র কমেনি। এখনও এই রোগই যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, তা নিয়েও অনেকে একমত। ক্যানসার আরও বেশি করে সমস্যা সৃষ্টি করে, কারণ এই রোগের গোড়ার দিকে সেটিকে ধরা যায় না। কারণ বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই এর উপসর্গ বিশেষ দেখা যায় না। কিন্তু গোড়তেই যদি এই রোগটিকে চিহ্নিত করা যায়, তাহলে এটি সারিয়ে তোলাও অনেক সহজ হয়ে যায়। আর সেই কাজেই এবার অনেক খানি সাহায্য করতে এক নতুন পরীক্ষাপদ্ধতি আবিষ্কার করে ফেলেছেন একদল বিজ্ঞানী। আঙুলের ডগায় সূচ ফুটিয়েই ব্রেন ক্যানসারের মতো অসুখ চিহ্নিত করার পদ্ধতি আবিষ্কার করে ফেলেছেন তাঁরা।
(আরও পড়ুন: ফুসফুস সুস্থ রাখতে কী করবেন জানেন? লাং ক্যানসার থেকে বাঁচতে মানুন এই নিয়ম)
নটিংহ্যাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির কয়েক জন গবেষক এর মাঝে আবিষ্কার করেছেন এমনই এক দুর্দান্ত ক্যানসার নির্ণায়ক পরীক্ষা পদ্ধতির। কী আবিষ্কার করেছেন তাঁরা? তাঁরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কের কয়েকটি বিশেষ টিউমা খুব দ্রুত বাড়ে। এগুলি চট করে ধরা যায় না। কিন্তু মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই এগুলি বিরাট আকার নেয়। আর তাতেই বহু মানুষের প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে। প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রায় ২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় এই জাতীয় ক্যানসারে। আর সেটিই এবার আগে ভাগে চিহ্নিত করে ফেলতে পারবে তাঁদের আবিষ্কার করা পরীক্ষা পদ্ধতি।
(আওর পড়ুন: দুগ্ধজাত খাবারই পুরুষদের এক বিশেষ রোগের কারণ! জানলে হয়তো এড়িয়ে চলবেন)
সাধারণত MRI পরীক্ষা করেই এই জাতীয় টিউমার এবং ক্যানসার চিহ্নিত করা যায়। তার খরচও বিরাট। এবং সেটি চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রেও বড়সড় চাপের জিনিস। কিন্তু নটিংহ্যাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা যে পরীক্ষা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, তাতে বাড়িতে বসেই যে কেউ এই জাতীয় ক্যানসার নিজেই ধরে ফেলতে পারবেন। ফলে চিকিৎসা পরিষেবার উপরে চাপ কমবে, খরচ কমবে। আগামী দিনে শুধু মস্তিষ্কের ক্যানসারই নয়, এই পরীক্ষার মাধ্যমে আরও অনেক ধরনের ক্যানসারই আগে থেকে নির্ণয় করা যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
তবে এখনই এই পরীক্ষা পদ্ধতি সর্বসাধারণের হাতে পৌঁছোচ্ছে না। এটি নিয়ে বাকি আরও কিছু পরীক্ষার। তার পরেই সাধারণের ব্যবহার যোগ্য হয়ে উঠবে এটি। এমনই বলেছেন বিজ্ঞানীরা।