করোনা আমাদের খাদ্যাভাসে অনেকটাই পরিবর্তন এনে দিয়েছে। অধিকাংশ মানুষই এখন তাঁদের স্বাস্থ্য এবং খাবার নিয়ে ভীষণই সচেতন থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে, বুঝে তাঁরা তাঁদের খাদ্যাভাসে বদল আনছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে কোন খাবারে তাঁর অ্যালার্জি আছে কিংবা কোন খাবার তাঁর স্রেফ সহ্য হয় না। অনেকেই আবার দুটো বিষয়কে একই মনে করেন। বা তফাৎ বোঝেন না। ফলে অনেক সময়ই খাবার খাওয়ার পরে সমস্যায় পড়তে হয়।
নিউবার্গ সুপরাটেক রেফারেন্স ল্যাবরেটরির প্যাথোলজিস্ট ডক্টর আকাশ শাহ জানান যে খাবারে অ্যালার্জি আছে তখন বলা যায় যখন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটা নির্দিষ্ট খাবারের প্রোটিনের বিরুদ্ধে রিঅ্যাক্ট করে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন কোনও ক্ষতিকর পদার্থ খুঁজে পায় শরীরে তখন সেটার বিরুদ্ধে রিঅ্যাক্ট করে আমাদের শরীর। খাবারে অ্যালার্জি হলে ত্বকে র্যাশ বেরোয়, বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। মূলত ডিম, দুধ, বাদাম, মাছ, সামুদ্রিক জীব বা অন্যান্য খাবারেই অধিকাংশ মানুষের অ্যালার্জি হয়ে থাকে।
অন্যদিকে খাবার সহ্য না করার অর্থ হল সেই খাবারটা হজম না হওয়া। কোনও এনজাইমের কমতি থাকলে শরীরে এটা হয়ে থাকে। এই এনজাইম না থাকার কারণে বেশ কিছু খাবার হজম করতে আমাদের সমস্যা হয়ে থাকে। অল্প করে সেই খাবার খেলে অসুবিধা হয় না। কিন্তু বেশি মাত্রায় সেটা খেলেই সমস্যা দেখা দেয়। অ্যালার্জির ক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণে খাবার খেলেই সেটা রিঅ্যাক্ট করে। অনেকের দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার হজম করতে সমস্যা হয়ে থাকে।
কী করে বুঝবেন আপনার খাবারে অ্যালার্জি আছে নাকি সেটা স্রেফ সহ্য হয় না?
ভিট্রো ডায়গনস্টিক টেস্টের মাধ্যমে জানা যায় যে কার কোন খাবার সহ্য হয় না। এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হয় ২৮০ ধরনের ফুড অ্যান্টিজেনের মধ্যে আমাদের কোনটি সহ্য হয় না। এই পরীক্ষাটি মূলত ব্লাড টেস্ট করে জানা যায়।
অন্যদিকে খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সেটা বিভিন্ন উপায়ে ধরা যায়, যেমন ইমুনোক্যাপ, মাইক্রোঅ্যারে, ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে। কোনও খাবারে অ্যালার্জি হলে ব্যাপক ভাবে সেটার প্রতিক্রিয়া দেখা যায় শরীরে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।