মরশুম বদল মানেই সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দবরে থাকার চেষ্টা। নাক দিয়ে কাঁচা জল গড়াতে শুরু করা, কিম্বা গলা ধরে যাওয়ার মতো সমস্যায় নিত্যদিনের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে বিরক্ত লাগে অনেকেরই। শুধু যে শীতকাল শুরুর সময়ই এমন ঠাণ্ডা-গরম লেগে সর্দিকাশি হয়, তা নয়। গরমের শুরুতেও সর্দিকাশি লেগে থাকে অনেক বাড়িতেই। প্রবল গরমে রোদ থেকে এসি-রুমে ঢুকলে, বা রোদ্দুর থেকে বাড়ি এসেই ফ্রিজের ঠাণ্ডা জল পান করলেই গলা ব্যথা শুরু হয়।
ঠাণ্ডা-গরম লেগে সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে একাধিক পথ্য কার্যকরী ফল দেয়। তবে যদি সর্দি-কাশি উপেক্ষা করে যান, তাহলে গোটা মরশুম জুড়ে তা আপনাকে ভোগাতে পারে! ফলে সহজেই বাড়িতে এই পথ্যগুলি তৈরি করে নিতে পারলেই তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাব সর্দি-কাশির সমস্যা! আরও পড়ুন- তরমুজের উপকারিতা তো শুনেছেন! এর খোসায় কী কী গুণ থাকে জানলে চমকে উঠবেন
সর্দি-কাশি দূর করতে ঘরোয়া পথ্য:-
- সর্দিকাশি সারাতে হলে লেবু খুবই উপকারি। ফলে, জল গরম করে তাতে লেবু ও মধু এবং একটি লবঙ্গ ফেলে ফুটিয়ে নিয়ে তা খেলে খুবই কাজ দেয়।
- ঠাণ্ডা-গরম লাগার জেরে শরীর অসুস্থ হলে গাজর খেতে পারেন। গাজরের ভিটামিন মিনারেলস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে কোনও রোগ শরীরকে কাবু করতে পারে না।
-সকালে উঠে সাতটি তুলসী পাতা নিয়ে তার সঙ্গে নুন দিয়ে খালি পেটে খেয়ে ফেলুন। এই অভ্যাস সারা বছর সর্দিকাশির সমস্যা থেকে দূরে রাখে। এমনকি সর্দি হলেও এটা খেলে, তা কার্যকরী ফল দেয়।
-সর্দিকাশির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পাচন খুবই কার্যকরী ফল দেয়। জল ফুটিয়ে তাতে বাসক, তুলসী,লবঙ্গ, গোল মরিচ ও শেষে মধু দিয়ে পান করলে তা তৎক্ষণাৎ কমিয়ে দেয় সর্দিকাশির সমস্যা।
-গলায় খুশখুশে কাশি হলে পান করুন আদা চা। ২ কাপ জলে কিছুটা আদার কুচি দিয়ে তা ফুটিয়ে নিন, তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন মধু। আদা ও মধু অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি। ফলে এরা সহজেই মুক্তি দেয় সর্দিকাশির সমস্যা থেকে।