অন্য দেশের মতোই এখন ভারতেও শুরু হয়েছে কোভিড ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া। কিন্তু এই বুস্টার ডোজ কি সব দিক থেকেই নিরাপদ? নাকি এই বুস্টার ডোজ নিলে কারও কারও ক্ষতিও হতে পারে? তেমনই আশঙ্কা করছেন কয়েক জন বিজ্ঞানী।
হালে European Medicines Agency-র গবেষকরা বলেছেন, ঘন ঘন বুস্টার ডোজ নিলে লাভের চেয়েই ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। কারণ তাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বিগড়ে যেতে পারে।
তাঁরা একটি সমীক্ষায় দেখিয়েছেন, প্রতি চার মাস অন্তর এক বার করে বুস্টার নিলে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়তে পারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি। সেক্ষেত্রে অন্য রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে শরীর। এবং অন্য রোগ সহজেই কাবু করে ফেলবে শরীরকে।
এই বিষয়টি সম্প্রতি আরও বেশি করে আলোচনা এসেছে, তার কারণ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই কোভিডের দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। এই তালিকায় একেবারে প্রথমে রয়েছে ইজরায়েল। সেখানে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ, অর্থাৎ ৪ নম্বর টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এতগুলি বুস্টার দেওয়া আদৌ ঠিক হচ্ছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ইউরোপের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, এর ফলে কোভিড থেকে হয়তো বেশি মাত্রায় সুরক্ষা পাওয়া যাবে। কিন্তু অন্য অসুখের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে এর ফলে।
European Medicines Agency-র প্রধান মার্কো কাভালেরি সংবদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একবার পর্যন্ত ঠিক আছে। অনেকটা সময় নিয়ে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ পর্যন্ত নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু বিষয়টা এমন নয় যে, এই বুস্টার ডোজ বারবার নেওয়া যাবে। তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছেন, তারা ওমিক্রনের কথা মাথায় রেখে নতুন ভ্যাকসিন এবং বুস্টার তৈরি শুরু করেছে। European Medicines Agency-র গবেষকরা অবশ্য বলছেন, তার চেয়েও বেশি দরকারি, অন্য অসুখের টিকার সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধান রেখে কোভিডের টিকা দেওয়া। তাতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বেশি জোরদার হবে। এমনই মত তাঁদের।